fbpx
বাংলাদেশপ্রধানমন্ত্রী

আবার ক্ষমতায় যেতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বাদে অন্য কেউ ক্ষমতা আসলে উন্নয়ন এবং দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। দেশ বিরোধী, খুনি, মৌলবাদী চক্র, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি যেন ক্ষমতায় না আসতে পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী আজ দুপুরে গণভবনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের এক সভায় এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন হয় জনগণের জীবন মান উন্নত হয় সেটা আমরা প্রমাণ করেছি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই দেশে এগিয়ে যাচ্ছে, বিদেশে বাংলাদেশের সম্মান মর্যাদা বেড়েছে অনেক।

তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত যে পরিবর্তনটা দৃশ্যমান হয়েছে আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতা আছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। আমরা মানুষের মন জয় করেই ক্ষমতায় এসেছি । আর ক্ষমতায় এসে ধারাবাহিক উন্নয়ন করে যাচ্ছি । আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর ৭৫ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত যে অন্যায় অত্যাচার করা হয়েছে আমরা তার প্রতিশোধ নেই নাই । আমরা অন্যায়ের জবাব দিচ্ছি উন্নয়ন করে ।

সরকার প্রধান বলেন, আমাদের সরকার প্রতিটি জেলায় পরিকল্পিত উন্নয়ন করেছে । ফলে আজ গ্রামে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা একেবারে নাই বললেই চলে । সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে না পারলে গত সাড়ে চৌদ্দ বছরে আমরা যে উন্নয়ন করেছি তার সবকিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে।

আওয়ামী লীগ সরকার যে উন্নয়ন করেছে সেগুলো বেশি করে প্রচার করতে দলীয় নেতা কর্মীদের নির্দেশ প্রদান করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি । একই সাথে উন্নয়ন যেন অব্যাহত থাকে এবং আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনা দরকার সেটাও মানুষের কাছে তুলে ধরতে বলেন তিনি।

সামনে জাতীয় নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত দলকে আরো শক্তিশালী, সু সংগঠিত করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ প্রদান করেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি দলে দুঃসময়ের নেতাকর্মীরা যেন অবহেলিত না হয় সে বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি দিতে নেতাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দুঃসময়ের নেতাকর্মীরাই দলের দুঃসময়ে এবং যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার একমাত্র শক্তি আমার সংগঠন। সাংগঠনিক শক্তি না থাকলে বড় কোন অর্জন সম্ভব হয় না। তাই দলকে সুসংগঠিত করতে হবে তৃণমূল পর্যায়ে থেকে।

বাংলাদেশকে নিয়ে নানা চক্রান্ত শুরু হয়ে গেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকেই চায় না আমাদের দেশটি এগিয়ে যাক।

এ প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক চক্রান্তের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাদের উস্কানিতে বিএনপি আজ লাফাচ্ছে তারা কিন্তু তাদের ক্ষমতায় বসাবে না। তারা শুধু তাদেরকে ব্যবহার করবে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে বারবার ধ্বংস করার অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সে চেষ্টা কখনোই সফল হয়নি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আজ মানুষের মন জয় করে শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী করা দরকার মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাবা মা ভাই সবাইকে হারানোর পর আওয়ামী লীগই আমার পরিবার। বাংলাদেশের জনগণ আমার সমস্ত শক্তি। তারাই আমার একমাত্র ভরসা। তাদের জীবনমান উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। করোনা মহামারীর মধ্যে আওয়ামী লীগই একমাত্র দল যারা সবচেয়ে বেশি মানুষের পাশে থেকে অবদান রেখেছে ।

ঢাকা ১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাতকে সকলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরাফাতকে আপনাদের হাতে তুলে দিলাম নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধ ভাবে সকলে মিলে কাজ করবেন।

বিএনপির নির্বাচন মানে দশটা হোন্ডা ২০ টা গুন্ডা নির্বাচন ঠান্ডা একথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো ভোটারবিহীন নির্বাচন করেনি। ভোটার বিহীন নির্বাচন করেছে খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী ডক্টর আব্দুর রাজ্জাক, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কর্নেল ফারুখ খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড, হাসান মাহমুদ, ডা. দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান সাধারণ সম্পাদক, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রলীগের সভাপতিসহ বিভিন্ন থানা ওয়ার্ড এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button