কামারপাড়ায় মাংস কাটার লোহার সরঞ্জাম তৈরির ব্যস্ততা

হাতুড়ির টুং টাং শব্দে মুখর কামারপাড়াগুলো। কোরবানী ঈদ আসন্ন, তাই মাংস কাটার লোহার সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা। পশু জবাই থেকে মাংস কাটাসহ সব কিছুতেই প্রয়োজন ধারালো এসব সরঞ্জাম। কোরবানি ঘিরে বেচাকেনা বাড়ার আশায় কামার শিল্পীরা।
কোরবানীর ঈদ সামনে রেখে বরিশালে কামারপাড়াগুলোতে দিনরাত চলছে ছুরি, চাপাতি ও কাটারীসহ বিভিন্ন সরঞ্চাম তৈরির কাজ। জেলার প্রতিটি হাট-বাজারের কামারের দোকানগুলোতেও এখন চরম ব্যস্ততা।
কামাররা বলছেন, এ শিল্পে আগের মতো আর কাজ হয় না। তবে কোরবানির ঈদ এলে চাহিদা কিছুটা বাড়ে।
জেলার কামার শিল্পীদের তালিকা করে সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছে সমাজ সেবা অধিদপ্তর।
নেত্রকোণা সদর উপজেলার ফচিকা গ্রামের কামারপাড়াগুলো ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত হাতুড়ি পেটানোর শব্দে মুখরিত। বর্তমানে যা আয় হয়, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে তা দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকে।
জেলায় ২০ জন কামারকে ঋণ দেয়া হয়েছে। বাকিদের পর্যায়ক্রমে ঋন দেয়ার প্রক্রিয়া চলমান আছে বলে জানান এই বিসিক কর্মকর্তা।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সরগরম হয়ে উঠেছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের কামার দোকানগুলো। দা, বঁটি, ছুরিসহ গৃহস্থালি নানা সরঞ্জাম বানাতে ব্যস্ত সময় পার করছে এখানকার কারিগরেরা।