fbpx
বাংলাদেশআওয়ামী লীগজাতীয় নির্বাচনবিএনপিরাজনীতি

রাজধানীর বিভিন্নস্থানে বাসে অগ্নিসংযোগ

রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে ও মালিবাগ ফ্লাইওভারে বলাকা পরিবহনের একটি বাসে এবং কমলাপুরে বিআরটিসি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে কে বা কারা এ আগুন দিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে এসব বাসে আগুন দেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তায় পুলিশের ব্যারিকেড আর বিএনপির কর্মীদের সংঘর্ষের কারণে বলাকা পরিবহনের একটি বাস ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে রামপুরা সড়ক দিয়ে চলে যেতে চায়। কিন্তু মৌচাক মোড়ের ঠিক ওপরেই লাঠি হাতে একদল যুবক বাসের গতিরোধ করে ভাঙচুর শুরু করেন। এ সময় আতঙ্কিত যাত্রীরা বাস থেকে হুড়োহুড়ি করে নেমে যায়। একপর্যায়ে তারা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেন।

ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ জানান, বিকেলে মৌচাক ফ্লাইওভারে বলাকা বাসে ও কমলাপুরে বিআরটিসি বাসে আগুনের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুনে বাস দুটি পুরোপুরি পুড়ে গেছে।

ডিএমপির রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, বিকেলে ৫টা ২০ মিনিটের দিকে কাকরাইল মোড়ে একটি বাসে আগুনের ঘটনা শুনেছি। আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। তবে কে বা কারা আগুন দিয়েছে সেই তথ্য জানাতে পারেননি তিনি।

এর আগে দুপুরে পুলিশি বাধায় বিএনপির নয়াপল্টনের মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে দলের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। নয়াপল্টন ও আশপাশের এলাকায় বিএনপি-পুলিশ ও আওয়ামী লীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন বিএনপির নেতাকর্মী ও পুলিশ এবং সাংবাদিকরা আহত হন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) দাবি, ৪১ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন ও একজন মারা গেছেন। এছাড়া বিকেল ৩টা ৩৯ মিনিটে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় ডিএমপির মিডিয়া সেল দাবি করে, রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে আগুন দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত।

/রায়হান আকাশ

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button