মহাসমাবেশ চলাকালে বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও নাশকতার অভিযোগে রমনা থানার মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। অপরদিকে নাশকতার অভিযোগে করা পল্টন ও রমনা থানার আলাদা নয়টি মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন নামঞ্জুর করেছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালত। শুনানি শেষে তিনি এ আদেশ দেন। এর আগে গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদের আদালতে এ জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। এ মামলার নথি মহানগরে সিআরমিস শুনানির জন্য থাকায় বিচারক মামলার নথিপ্রাপ্তি সাপেক্ষে এ বিষয় শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে আদেশ দেন।
গত বছরের ২৮ অক্টোবরের পর মির্জা ফখরুলের নামে মোট ১১টি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে ১০ মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন।
অপরদিকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত পল্টন থানার পাঁচ মামলায় এবং ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত রমনা মডেল থানার চার মামলায় মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। তার আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী এ তথ্য জানান।
এ দিন কারাগার থেকে মির্জা আব্বাসকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত পল্টন থানার পাঁচ মামলায় এবং ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত রমনা মডেল থানার চার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে, গত ২৪ জানুয়ারি তার আইনজীবী মহি উদ্দিন চৌধুরী মির্জা আব্বাসকে যেসব মামলায় আসামি করা হয়েছে কিন্তু গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি সেগুলোতে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। একই সঙ্গে সব মামলায় তার জামিন আবেদনও করা হয়। এরপর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালত এ বিষয়ে শুনানির জন্য আজকের (১ ফেব্রুয়ারি) দিন ধার্য করেন।