fbpx
বাংলাদেশঅপরাধআন্তর্জাতিকএশিয়াদেশবাংলা

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া সেনার সংখ্যা ১০০ ছাড়াল

মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে বিদ্রোহী দল আরাকান আর্মির সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষ চলছে। সংঘর্ষের মধ্যে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপি) সদস্যরা বিদ্রোহীদের আক্রমনের মুখে টিকতে না পেরে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশে। সর্বশেষ আরও ১১ জন সদস্য পালিয়ে আশ্রয় নেয়ায়  এ নিয়ে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যের সংখ্যা দাঁড়াল ১০৬ জনে।

সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছেন বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম।

এর আগে গতকাল রোববার থেকে আজ (সোমবার) সকাল ৮টা পর্যন্ত ৯৫ জনের পালিয়ে আসার খবর পাওয়া গেছে।

সকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত বিজিপির ৯৫ জন সদস্য অস্ত্রসহ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বিজিবি তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে দিয়েছে।

গতকাল সোমবার প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছিলেন, ১৪ জন বিজিপি সদস্য নিরাপদে আশ্রয়ের জন্য বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশ করেছেন। তারা আটক আছেন। দু’দেশের কূটনৈতিক তৎপরতা শেষে তাদের ফেরত পাঠানো হবে।

শরীফুল ইসলাম বলেন, রোববার ভোর থেকে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যরা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া শুরু করেন। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত এলাকা দিয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত পালিয়ে আসা বিজিপির সংখ্যা ছিল ৩৯ জন। রাত ১২টার দিকে সে সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৮ জনে। আজ সকালে এসেছেন আরও ২৭ জন। মোট ৯৫ জন।

মিয়ানমারের জান্তা সরকারকে উৎখাতে লড়াই করছে বিদ্রোহী তিন সংগঠনের জোট থ্রি ব্রাদার অ্যালায়েন্স। এখানে আরাকান আর্মি, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) এবং টা আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ) মতো সংগঠনের যোদ্ধারা রয়েছেন।

এএইচএম ফারুক/বাংলা টিভি

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button