ভারতে ৬৪ কোটি মানুষ ভোট দিয়েছেন
ভারতের মুখ্য নির্বাচনি কমিশনার রাজীব কুমার জানিয়েছেন, ”ভোটদাতার সংখ্যার দিক থেকে এটা একটা বিশ্ব রেকর্ড। বিশ্বের কোনো দেশে কখনো এত বেশি মানুষ ভোট দেননি। যে ৬৪ কোটি ২০ লাখ মানুষ ভোট দিয়েছেন, তার মধ্যে ৩১ কোটি ২০ লাখ নারী।”
রাজীব কুমার বলেছেন, ”এবার পুনর্নির্বাচন বেশি হয়নি। মাত্র ৩৯টি জায়গায় পুনর্নির্বাচন হয়েছে। এর মধ্যে ২৫টি হয়েছে অরুণাচল ও মণিপুরে। বাকি দেশে ১৫টি জায়গায় পুনর্নির্বাচন হয়েছে।” নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের দাবি, ”ভোটগণনার কাজেও সব ধরনের সতর্কতা নেয়া হয়েছে। রোববার বেশ কয়েকটি দলের প্রতিনিধি কমিশনের সঙ্গে দেখা করে কিছু দাবি জানিয়েছিলেন। সবগুলি মেনে নেয়া হয়েছে।”
এই নির্বাচনে দেড় কোটি নির্বাচন ও নিরাপত্তা কর্মী কাজ করেছেন। ১৩৫টি বিশেষ ট্রেন চালানো হয়েছে। এছাড়া এক হাজার ৬৯২ বার হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়েছে। রাজনৈতিক দলের নেতারা যে হেলিকপ্টারে ঘুরেছেন, সেগুলিও পরীক্ষা করে দেখেছেন নিরাপত্তারক্ষীরা।
রাজীব কুমার জানিয়েছেন, ”ভোট–পরবর্তী সহিংসতার কথা মাথায় রেখে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্র, উত্তর প্রদেশের মতো কয়েকটি রাজ্যে ফলাফল ঘোষণার পরেও কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। তারা রাজ্য সরকারের অধীনে থাকবে। তারা সেখানে দরকার হলে নিশ্চতভাবেই সহিংসতা থামাবে।”
তিনি বলেছেন, ”জম্মু ও কাশ্মীর ও মণিপুর আমাদের আশান্বিত করেছে। সেখানে প্রচুর মানুষ ভোট দিয়েছেন। জম্মু ও কাশ্মীরে আমরা বিধানসভা ভোটের কাজ খুব তাড়াতাড়ি শুরু করব।”
কারচুপির সম্ভাবনা নেই
রাজীব কুমার জানিয়েছেন, দেশে ১০ লক্ষ ৫০ হাজারের বেশি বুথ রয়েছে। ৩০ থেকে ৩৫ লক্ষ পোলিং এজেন্ট সেখানে থাকবেন। নজরদারি রাখার জন্য দল থাকবে। যারা গণনা করবেন তারা থাকবেন। সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে।মানুষের ভুল হলেও হতে পারে। ভোটগণনায় কারচুপির সম্ভাবনা বিন্দুমাত্র নেই। বিভিন্ন দল ভোটগণনা নিয়ে যে দাবি করেছিলেন, সব মেনে নেয়া হয়েছে।”
তিনি বলেছেন, প্রতিবারের মতো এবারেও পোস্টাল ব্যালট প্রথমে গণনা করা হবে। তারপর ইভিএমের গণনা হবে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক। বাংলা টিভি