fbpx
বাংলাদেশদেশবাংলাপ্রধানমন্ত্রী

কালুরঘাটে নতুন সেতুর চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার কালুরঘাটে নতুন সেতু বাস্তবায়নে দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে সরকারের চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায়  প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে সেতুটির কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করাসহ ৪ দফা  প্রস্তাবনা দিয়েছে চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম।

বুধবার (৩ জুলাই) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের এই প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন, চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের মহাসচিব মো. কামাল উদ্দিন। এতে  অন্যান্যদের  মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,  সাবেক সাংসদ ও চাকসুর সাবেক ভিপি মাজহাজারুল হক শাহ চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রবীণ সাংবাদিক মাঈনুদ্দীন কাদের শওকত, দোকান মালিক ফেডারেশন চট্টগ্রামের সভাপতি আলহাজ্ব ছালামত আলী, আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব নুর আলী, সাবেক মন্ত্রী জহুর আহমেদ চৌধুরীর সন্তান ও আওয়ামী লীগ নেতা জসিম উদ্দিন চৌধুরী, ওয়াসার সাবেক প্রধান প্রকৌশলী নুরুল আবছার, নাগরিক ফোরামের যুগ্ম মহাসচিব আকরাম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মনছুর  আলম এবং নারীনেত্রী মেহেরুন্নেছা নিপা প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের রুপকার  ব্যরিস্টার মনোয়ার হোসেন সর্বপ্রথম ১৯৯০ সালে বোয়ালখালী উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির  মাধ্যমে কালুরঘাট নতুন সেতু বাস্তবায়নের দাবী  উত্থাপন করেছিলেন। চট্টগ্রাম উন্নয়নের দীর্ঘ আন্দোলন কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে ব্যরিস্টার মনোয়ারের নেতৃত্বে  চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে অনশন, মানববন্ধন, প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি, প্রতিবাদ-সভা, মতবিনিময় ও সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কালুরঘাট সেতুর দাবী জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়।  এ দাবী বিলম্বে হলেও বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে জেনে বৃহত্তর চট্রগ্রামবাসী  আশার আলো দেখছেন।

এসময় চট্টগ্রামবাসীর  দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল এই সেতুর দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য নাগরিক ফোরামের চারটি  প্রস্তাবনা পেশ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে, এই জুলাই মাসের মধ্যে প্রকল্প একনেকে পাশ করা, ২০২৫ সালের মার্চ থেকে মূল নির্মাণ কাজ শুরু করা, ভূমি দ্রুত  অধিগ্রহণ করা  ও  ২০২৮ সালের মধ্যে সেতু নির্মাণকাজ শেষ করার দাবী।

এ বিষয়ে উদাহরণ দিয়ে বলা হয়, দেশের সর্ববৃহত্তম পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৬.১৫ কি:মি অর্থাৎ ৬১৫০ মিটার, প্রস্তাবিত কালুরঘাট সেতু হল মাত্র ৭০০ মিটার যা পদ্মা সেতুর চেয়ে ৮ ভাগেরও কম, সেখানে পদ্মা সেতুতে বিশাল ভূমি হুকুম দখল ও নদী শাসন পূর্বক নির্মাণ করতে সময় লেগেছে ৮ বছর। সেই তুলনায় ২০২৮ সালের মধ্যে কালুরঘাট সেতুর কাজ সরকার চাইলে শেষ করতে পারবেন।  এতে জাতীয় অর্থনীতির লাভ হবে। এই সাথে  সেতুর কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের প্রয়োজনে দেশের স্বনামধন্য সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সাহায্য নেয়ার আহ্বান জানানো হয়।

এ প্রসঙ্গে বলা হয়, আমরা আগেও বলেছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই সেতুর ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন এবং তাঁর আন্তরিকতার ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই, কিন্তু সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় ও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ এই ব্যাপারে চরম গাফেলতির কারণে সেতু নির্মাণে অনেক কালক্ষেপন হয়েছে। এতে ব্যয়ে বরাদ্দ ভীষণভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব বিবেচনায় নিয়ে, প্রকল্পের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নে নাগরিক ফোরাম  এসব প্রস্তাব দিয়েছে।

এসআর

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button