‘সংক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার’ মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

পাঠ্যপুস্তক থেকে ‘আদিবাসী’ সংক্রান্ত গ্রাফিতি বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে এনসিটিবি ঘেরাও কর্মসূচিতে আদিবাসীদের ওপর যে হামলা চালানো হয়েছিলো, তার প্রতিবাদে ‘সংক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার’ ব্যানারে একদল বিক্ষোভকারী বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হলে শিক্ষাভবনের সামনে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে।
বিক্ষোভকারীরা এদিন সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে আন্দোলন চালিয়ে চালিয়ে যাচ্ছিলেন এবং এক পর্যায়ে তারা সচিবালয় ঘেরাও করার জন্য অগ্রসর হন।
তখন শিক্ষা ভবনের সামনে তারা পুলিশের বাধার মুখোমুখি হন। বিক্ষোভকারীরা সেখানে থাকা ব্যারিকেড ভেঙে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ওপর জলকামান নিক্ষেপ করে।
পরবর্তীতে সেখানে সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহারের পাশাপাশি বিক্ষোভকারীদের ওপর লাঠিচার্জও করা হয়।
পুলিশের রমনা জোনের উপকমিশনার মো. মাসুদ আলম ঘটনাস্থল থেকে সাংবাদিকদের বলেন, তারা শুরুতে আন্দোলনকারীদেরকে অনুরোধ করেছিলো।
“তাদেরকে বলা হয়েছিলো, এরপর আর যাইয়েন না। এই পর্যন্ত থাকেন। আপনারা যদি যান, সবাই উৎসাহিত হবে। সবাই সচিবালয়ের সামনে যাবে। অনুরোধ করার পরও…তাদের প্রথমেই টার্গেট হলো আমাদের ব্যারিকেড…আমরা এত সুন্দর করে ব্যারিকেড দিছি, তালা পর্যন্ত দিছি যাতে ওদের সাথে হাত দেওয়া না লাগে, ওইটাও ভেঙে ফেলছে,” বলছিলেন মি. আলম।
“যখনই ভেঙে ফেলছে, তখন আমরা জলকামান ব্যবহার করছি, যাতে না যেতে পারে। তাদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য হালকা হাওয়া দিছি। সাউন্ড গ্রেনেড দেওয়া হইছে, যাতে ছত্রভঙ্গ হয়ে চলে যায়। এইটুকুই আমাদের উদ্দেশ্য। আমাদের উদ্দেশ্য কাউরে মারা না, কারও ক্ষতি করা না।”
এই আন্দোলনের সাথে জড়িত কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার অন্তত তিন থেকে চার জন আহত হওয়ার খবর পেয়েছেন তারা।