গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর গণহত্যায় তীব্র নিন্দা বাংলাদেশের

গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর অব্যাহত গণহত্যা এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
সোমবার (৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা জানায়।
এতে উল্লেখ করা হয়, গত মাসে একতরফা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর থেকে ইসরাইলি সামরিক হামলায় বহু ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। পাশাপাশি গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা সৃষ্টি হয়েছে, যা মানবিক বিপর্যয়ের দিকে পরিচালিত করেছে।
স্পষ্টতই, ইসরাইল বারবার আন্তর্জাতিক আবেদনের প্রতি কোনো গুরুত্ব দেয়নি এবং এর পরিবর্তে ক্রমবর্ধমানভাবে হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। বাংলাদেশ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জাতিগত নির্মূল অভিযান চালানোর জন্য গাজার ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর নির্বিচার বিমান বোমাবর্ষণের তীব্র নিন্দা জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত মাসে যুদ্ধবিরতির একতরফা লঙ্ঘনের পর থেকে ইসরাইলি বাহিনী লাগাতার সামরিক হামলা চালিয়ে আসছে, যাতে নারী ও শিশুসহ বহু নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একইসাথে, গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে বাধা দিয়ে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় তৈরি করেছে ইসরাইল। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বারবার আহ্বান উপেক্ষা করে, ইসরাইল যেন এক হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছে।
বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট ভাষায় জানায়, ইসরাইল দখলদার বাহিনী যেভাবে ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় নির্বিচারে বিমান হামলা চালাচ্ছে, তা নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধনের একটি সুপরিকল্পিত অপচেষ্টা বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে।
বিবৃতিতে বাংলাদেশ সরকার ইসরাইলকে অবিলম্বে সকল সামরিক অভিযান বন্ধ করার আহ্বান জানায়। বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার দাবি করছে ইসরাইল যেন আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে আত্মসংযম বজায় রাখে ও দায়িত্ব পালন করে এবং অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে কোনোরকম বাধা না দেয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘ-কে তাদের নৈতিক ও আইনগত দায়িত্ব পালনের জন্য জোরালোভাবে আহ্বান জানিয়েছে। বলা হয়, বাংলাদেশের আহ্বান, অবিলম্বে একটি নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন এবং সব প্রকার শত্রুতার অবসান ঘটানো হোক, যাতে নিরীহ মানুষের জীবন রক্ষা হয় ও সহায়তা পৌঁছানো সম্ভব হয়।
এ ছাড়াও ফিলিস্তিনের পাশে বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করা হয়। বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার ও একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ন্যায্য অধিকারের প্রতি দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে। ১৯৬৭-পূর্ব সীমারেখার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে বাংলাদেশ অটল রয়েছে।



