দুই নারী ফুটবলারের পাশে দাঁড়ালেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক

দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছেন নারায়ণগঞ্জ প্রমিলা ফুটবল একাডেমির দুই তরুণী ফুটবলার—স্মৃতি আক্তার ও আফরোজা আফরিন লামহা। খেলাধুলার পাশাপাশি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চরম আর্থিক সংকটে পড়েছিলেন তারা। বিষয়টি জানতে পেরে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ক্রীড়ানুরাগী জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
বুধবার (৫ অক্টোবর) সকালে স্মৃতি ও আফরোজা সরাসরি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে আর্থিক সহায়তা প্রার্থনা করেন। প্রশাসনিক ব্যস্ততার মধ্যেও জেলা প্রশাসক ধৈর্য সহকারে শুনলেন তাদের স্বপ্ন, সংগ্রাম আর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।
নারায়ণগঞ্জ প্রমিলা ফুটবল একাডেমির খেলোয়াড় স্মৃতি আক্তার জানান, তিনি সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন এবং এ বছর ডিগ্রি কোর্সে ভর্তি হতে চান। কিন্তু তার বেকার পিতার পক্ষে ভর্তি ফি দেওয়া সম্ভব নয়। জেলা প্রশাসকের কাছে বিষয়টি জানালে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
অন্যদিকে, আফরোজা আফরিন লামহা আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থী। সংসারে অর্থাভাবের কারণে তার পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে উঠেছিল। তিনিও জেলা প্রশাসকের কাছে সহায়তা চান, এবং তিনিও পান আর্থিক অনুদান।
চেক গ্রহণের পর স্মৃতি আক্তার বলেন, “ডিসি স্যার আমাদের পড়াশোনা ও ফুটবল চালিয়ে যেতে উৎসাহ দিয়েছেন। তাঁর সহায়তায় নতুন করে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছি।”
আফরোজা আফরিন লামহা বলেন, “ডিসি স্যার বলেছেন, জেলার কোনো প্রমিলা ফুটবলার যেন আর্থিক সমস্যার কারণে খেলা বা পড়াশোনা ছেড়ে না দেয়। যাদের সমস্যা আছে, তারা যেন সরাসরি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে।”
জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, “একজন মেয়ে শিশু যদি আর্থিক অভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে না পারে, সেটি মেনে নেওয়া যায় না। আজ দুইজন ফুটবলার আমার কাছে এসেছে—তাদের মতো আরও যারা সংকটে আছে, তাদেরও সাধ্যমতো সহযোগিতা করবো।”
মানবিক এ উদ্যোগে অনুপ্রাণিত হয়েছেন স্থানীয় ক্রীড়াঙ্গনের অনেকে। জেলা প্রশাসকের এমন সহানুভূতিশীল ভূমিকা নারায়ণগঞ্জের প্রমিলা ফুটবলারদের সামনে এগিয়ে যেতে নতুন উদ্দীপনা যোগাবে—এমনটাই আশা সংশ্লিষ্টদের।
এমআর



