রায়ে সন্তুষ্ট হলেও খুশি নন লাখাইবাসী

||কাজল সরকার, হবিগঞ্জ||
যুদ্ধাপরাধী মামলায় লিয়াকত ও আমিনুলের ফাঁসির আদেশের মাধ্যমে কলঙ্ক মোচনে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সোমবার এ রায় দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ।
হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার মুসলীম লীগ নেতা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি যুদ্ধাপরাধী লিয়াকত আলী ও কিশোরগঞ্জের আমিনুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
ট্রাইব্যুনালের অন্য বিচাপতিরা হলেন- বিচারপতি আমির হোসেন ও সদ্য বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার।
রায়ে ফাঁসির আদেশের পাশাপাশি পলাতক এই দুই আসামিকে গ্রেফতার জন্য পুলিশের মহাপরিদর্শক- আইজিপিকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এদিকে, ফাঁসির দণ্ডাদেশে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও পলাতক থাকায় খুশি নন এলাকাবাসী। তাদের দাবী এই সরকারে অন্যতম নির্বাচনী ওয়াদা ছিলো একাত্তরের মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ সম্পন্ন করা।
এই পর্যন্ত প্রায় সকল শীর্ষ যুদ্ধপরাধীর বিচার হয়েছে, অনেকের মৃত্যুদণ্ডও কার্যকর হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় রাজাকার লিয়াকত আলীসহ দুই আসামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয়েছে।
কিন্তু তারা দুজনেই এখন পর্যন্ত পলাতক রয়েছে। যা সত্যি দুঃখজনক। এলাকাবাসী বলছেন- যদি আসামীরা পলাতক থাকে তাহলে এ রায়ের কোন মূল্য নেই।
এই রায় দেয়া আর না দেয়া সমান কথা। দ্রুত আসামীদের গ্রেফতারর করে ফাঁসির আদেশ কার্যকর করার দাবি তাদের।
এ ব্যাপারে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অমরেন্দ্র রায় বলেন, ‘দুই রাজাকারের ফাঁসি হওয়ায় আমরা অনেক খুশি। কিন্তু তারা দুজনেই পলাতক থাকায় সেই খুশি অনেকটাই অম্লান।
তাই দ্রুত তাদেরকে গ্রেফতার করে ফাঁসি কার্যকরের দাবিও জানান তিনি।
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাপরাধ মামলার বাদী হরি দাশ রায় বলেন, ‘রাজাকার আলবদরের সহযোগিতায় ১২৭ জনকে হত্যা করেছে। সরকার সুযোগ তৈরি করেছে বলেই আমি মামলা করেছি।
আমরা বিচারে খুশি কিন্তু আাসামীরা গ্রেফতার না হওয়ায় অনেকটাই হতাশাগ্রস্থ।
বাংলাটিভি/এবি