রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবাদ ও ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল ঢাবি ক্যাম্পাস। সোমবার সকাল থেকে শিক্ষার্থী ধর্ষণের প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যের সামনে অনশন কর্মসূচি শুরু করে কয়েকজন শিক্ষার্থী। বেলা বাড়ার সাথে সাথে সেই সংখ্যাও বেড়েছে।
শেষ খবর পর্যন্ত সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ঢাবি শিক্ষার্থীরা শাহবাগে রাস্তা অবরোধ করে বিচারের দাবি জানিয়েছে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। শাহবাগে সড়কের মাঝখানে বসে প্রতিবাদ জানান তারা। অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নেন ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরু, ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানসহ প্রমুখ।
এদিকে, বিচার নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান। একই সঙ্গে ছাত্রলীগ বিক্ষোভে করছে। এছাড়া মধুর ক্যান্টিন থেকে ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করছে ছাত্রদল।
এরআগে, অনশনে বসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের এক ছাত্র। রোববার (৫ জানুয়ারি) দিনগত রাত ৪টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশনে বসেন তিনি। অনশনকারী ২০১৩-২০১৪ সেশনের শিক্ষার্থী মো. সিফাতুল ইসলাম।
ধর্ষণকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের পাশাপাশি ধর্ষণের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন ও প্রতিরোধ গড়ে তোলা দরকার। ধর্ষণের মতো জঘন্য সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরির অংশ হিসেবে আমি এ অনশন করছি।
প্রসঙ্গত, রোববার (৫ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে শেওড়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন ওই ছাত্রী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলায় বাস থেকে নামার পর অজ্ঞাত ব্যক্তি মুখ চেপে তাকে পার্শ্ববর্তী একটি স্থানে নিয়ে যান।
সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। পরে রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে নির্জন স্থানে অবিষ্কার করেন। পরে সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে নিজ গন্তব্যে পৌঁছালে রাত ১২টার পর তাকে ঢামেক জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয় এবং তাকে ওসিসিতে ভর্তি করা হয়।
তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতেলে চিকিৎসা অবস্থায় রয়েছে।