দেশের বিভিন্নস্থানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে দেশের বিভিন্নস্থানে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। গাইবান্ধার ফুলছড়ি পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি গত ২৪ ঘন্টায় ২৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ৩৫ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে সুন্দরগঞ্জ,গাইবান্ধা সদর,সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এছাড়া, পানি বৃদ্ধি পেয়ে দেখা দিয়েছে করতোয়া নদীর ভাঙ্গন। গত দুইদিনে ১৫টি বসতভিটা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।
জামালপুরে গেল ২৪ ঘন্টায় বন্যার পানি ২৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে, বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায়, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মাদারগঞ্জ, সরিষাবাড়ি ও বকশীগঞ্জ উপজেলার ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
বাড়িজুড়ি ইউনিয়নে মির্জাপুর গ্রামে সোহান নামে এক শিশু বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে।কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ, ১৬টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চিলমারী পয়েন্টে ৭৭ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ৬৪ সেন্টিমিটার ও ধরলার পানি ৭৬ সেন্টিমিটার বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফলে জেলার ৯ উপজেলার ৩৫ ইউনিয়নের দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ অভ্যন্তরে, বাড়িঘরে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এছাড়া যমুনার চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি ২৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারী
বর্ষণ আর উজানের ঢলে সিলেটের বিভিন্ন উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে লামাকাজী ও খাজাঞ্চী ইউনিয়নের অনেক রাস্তাঘাট ,বাজার, গুচ্ছগ্রামসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, ধানের ক্ষেত, বীজতলা ও মাছের খামার। এসব এলাকায় ত্রাণ সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন অনেকে।