করোনায় দীর্ঘ ৪ মাসের বিরতির পর বুধবার মাঠে ফিরছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। সাউদাম্পটনে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দর্শকশূণ্য মাঠে খেলা শুরু হবে কিছুক্ষণ পর। নিয়মিত অধিনায়ক জো রুটের ব্যক্তিগত ছুটির কারণে প্রথমবারের মতো ইংলিশদের নেতৃত্ব দেবেন বেন স্টোকস।
দলটির ইতিহাসে সবচেয়ে কম অভিজ্ঞ টেস্ট অধিনায়ক হতে যাচ্ছেন তিনি। মোহাম্মদ হাসিবের ডেস্ক রিপোর্ট। এ যেন, জন্মভূমিতেই ক্রিকেটের পুর্নজন্ম। বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯’এর থাবায় ক্রিকেট ছিলো মাঠ থেকে দুরে। তবে ইংল্যান্ড প্রথম দেশ হিসেবে, গেলো জুনে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার।
কঠিন বাস্তবতায় মাঠে ফেরার অপেক্ষায় রোজবলের ম্যাচ। তাই ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজটিকে, ঐতিহাসিক যাত্রা বলছেন ক্রিকেট বোদ্ধারা। আয়োজন নির্বিঘ্ন করতে, একমাস সময় হাতে রেখেই ইংল্যান্ডে পৌঁছায় প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দু’সপ্তাহের কোয়ারেন্টিন শেষে শুরু অনুশীলন। দীর্ঘ বিরতিতে ফিটনেস চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন ক্রিকেটাররা।
লকডাউনে হাপিয়ে উঠেছেন স্বাগতিক সমর্থকরাও। এ সিরিজ যেনো তাদের কাছে স্বপ্নের বাস্তবতা। যদিও সরকারের বিধি নিষেধের কারণে, মাঠে দর্শক থাকছে না, খেলা প্রচারিত হবে টিভির পর্দায়। তারপরও, ক্রিকেট মাঠে ফেরায় দারুণ রোমাঞ্চিত দর্শকরা।
দর্শকশূণ্য মাঠ হলেও চার-ছক্কার উদযাপন কিংবা উইকেট শিকারের আনন্দেও কমতি রাখছে না কর্তৃপক্ষ। কারণ মাঠের দর্শকদের মতই সেখানে কৃত্রিম উল্লাস শোনানো হবে। ফাঁকা মাঠের ভূতুড়ে পরিবেশের ছবি বদলাতেই প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে। দিনভর চলবে তুমুল চিৎকার, ঘন ঘন হাততালির পাশাপশি খেলোয়াড়দের তাতানোর জন্য দেয়া হবে স্লোগানও। উইকেট পেলে আগের মতো সতীর্থদের জড়িয়ে উল্লাস করার উপরে থাকছে আইসিসি’র বিধিনিষেধ।
তবে, বরাবরই অভিনবত্ব আনা ক্যারিবিয়ানরাও করবেন নতুন কিছু। ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ জার্সিতে লিখে সিরিজ খেলবে তারা। নিরপেক্ষ নয়, ম্যাচ পরিচালনা করবেন স্থানীয় আম্পায়াররাই। তাই একটি করে বাড়তি রিভিউ থাকছে। এরপরও সিরিজটি ঐতিহাসিক। কারণ দুটো বিশ্বযুদ্ধের পর, এতো লম্বা বিরতি আর পড়েনি ক্রিকেটে।