fbpx
ঢালিউডবিনোদন

সালমান শাহ চলে যাওয়ার ২ যুগ

ঢালিউডের ‘বরপুত্র’ সুপারস্টার সালমান শাহের চলে যাওয়ার ২ যুগ অর্থাৎ ২৪ বছর পূর্ণ হল। মৃত্যুর ২ যুগ পেরিয়ে গেলেও সালমানই একমাত্র নায়ক যাকে নিয়ে বাংলাদেশের সকল মিডিয়ায় বিশেষ প্রতিবেদন, অনুষ্ঠান প্রচার হয়। ভক্তরা নানা আয়োজন করে তাকে ঘিরে।

তার মৃত্যুর পর জন্ম নেওয়া তরুণ প্রজন্মও তাকে পছন্দ করে। প্রথম ছবি থেকে পোশাক-আশাক, স্টাইল ইত্যাদি দিয়ে মন জয় করেন এদেশের লাখো তরুণের। নিজেকে নিয়ে যান জনপ্রিয়তার শীর্ষে।

সালমান শাহ নামটি ছিল সিনেমার জন্য। তবে তার প্রকৃত নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। ১৯৭০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মা নীলা চৌধুরী।

সালমান শাহ ক্যারিয়ারের শুরুতে কাজ করেছেন ছোট পর্দায়। ‘আকাশ ছোঁয়া’, ‘দোয়েল’, ‘সব পাখি ঘরে ফেরে’, ‘সৈকতে সারস’, ‘নয়ন’ ও ‘স্বপ্নের পৃথিবী’তে নাটকে তাকে অভিনয় করতে দেখা গেছে। এছাড়া প্রচুর বিজ্ঞাপনও করেছেন তিনি।

মাত্র সাড়ে তিন বছরের ক্যারিয়ারে মোট ছবি করেছেন ২৭টি। সোহানুর রহমান সোহানের হাত ধরে ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে অভিষেক হয় সালমানের। সালমান অভিনীত শেষ সিনেমা ‘বুকের ভেতর আগুন’। তার সঙ্গে জুটি বেঁধে সবচেয়ে বেশি ১৪টি সিনেমায় অভিনয় করেন শাবনূর।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন ওরফে সালমান শাহ। ওই সময় এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা করেন তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি। এতে সালমান শাহ’র মৃত্যুকে ‘আত্মহত্যা’ বলে উল্লেখ করা হয়।

     17a169f31685887ded88654ed90b8dd2 5f53a327d8722

সিআইডি’র প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন আবেদন করেন। পরে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করার আবেদন জানান তিনি। অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়টি একসঙ্গে তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত।

গত ৩ নভেম্বর ১৯৯৭ সালে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহ’র মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়। ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে এটি গৃহীত হয়। সিআইডি’র প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী রিভিশন মামলা দায়ের করেন।

২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠান আদালত। এরপর প্রায় ১৫ বছর মামলাটি তদন্তে ছিল। ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট ঢাকার সিএমএম আদালতের বিচারক বিকাশ কুমার সাহার কাছে বিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক। এ প্রতিবেদনে সালমান শাহ’র মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর এ চিত্রনায়কের মা নীলা চৌধুরী ছেলের মৃত্যুতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান এবং ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দেবেন বলে আবেদন করেন। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নীলা চৌধুরী ঢাকা মহানগর হাকিম জাহাঙ্গীর হোসেনের আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে নারাজির আবেদন দাখিল করেন।

সে আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ১১ জন তার ছেলে সালমান শাহ’র হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারেন। মামলাটি এরপর র‍্যাব তদন্ত করে। তবে তাদের দ্বারা তদন্তের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ গত বছরের ১৯ এপ্রিল মহানগর দায়রা জজ আদালতে একটি রিভিশন মামলা করে।

২০১৬ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ ৬-এর বিচারক ইমরুল কায়েস রাষ্ট্রপক্ষের রিভিশনটি মঞ্জুর করেন এবং র‍্যাবকে মামলাটি আর না তদন্ত করার আদেশ দেন। তখন থেকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্বে আছে পিবিআই।

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button