fbpx
আওয়ামী লীগরাজনীতি

সৈয়দ আশরাফের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আজ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। সকালে বনানী কবরস্থানে সৈয়দ আশরাফের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল ও সৈয়দ আশরাফ স্মৃতি সংসদ।

২০১৯ সালের ৩রা জানুয়ারি থাইল্যান্ডের ব্যাংককে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আওয়ামী লীগের এ বর্ষিয়ান নেতা। শুদ্ধতম রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি নিজেকে অনন্য উচ্চতায় তুলে ধরে আওয়ামী রাজনীতিতে নতুন এক ধারা সৃষ্টি করেছিলেন।

সৈয়দ আশরাফ ১৯৫২ সালের ১লা জানুয়ারি ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ছাত্র জীবনে ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন সৈয়দ আশরাফ। স্বাধীনতার পর তিনি ময়মনসিংহ জেলার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেন। তিনি মুক্তিবাহিনীর একজন সদস্য ছিলেন। ভারতের দেরাদুনে প্রশিক্ষণ নেন তিনি।

জাতীয় চার নেতার সঙ্গে পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলামের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর যুক্তরাজ্য চলে যান সৈয়দ আশরাফ। ব্রিটেনে প্রবাসজীবন কাটানোকালে সেখানকার লেবার পার্টির রাজনীতির সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেন সৈয়দ আশরাফ। নব্বই দশকে শেখ হাসিনার আহ্বানে তিনি ব্রিটেনের প্রবাসজীবন ছেড়ে স্বদেশে ফিরে আসেন এবং আওয়ামী রাজনীতিতে সক্রিয় হন।

১৯৯৬ সালের সাধারণ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে প্রথমবারের মতো কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে নৌকার প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। ওই বছর আওয়ামী লীগ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের মাধ্যমে দীর্ঘ ২১ বছর পর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন হয়। সেই সরকারে তিনি বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন।

বাংলাটিভি/ সাকিব

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button