বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগকে জনগণের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন: শেখ সেলিম

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগকে জনগণের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। তিনি বলেন, ১৯৪৯ সালে যখন দল প্রতিষ্ঠা করা হয়, তখন মওলানা ভাসানীকে সভাপতি, শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়। তখন বঙ্গবন্ধু জেলে বন্দি ছিলেন। পরে সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক বন্দি হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয়। সাধারণ সম্পাদক হয়ে আওয়ামী লীগকে জনগণের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে মন্ত্রিসভা থেকেও পদত্যাগ করেছিলেন তিনি।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য এসব কথা বলেন।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উপমহাদেশের বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন, সততা, অসাম্প্রদায়িকতার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ গড়ে উঠেছিল।
বঙ্গবন্ধু ছেলেবেলা থেকেই প্রতিবাদী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছেলেবেলায় বন্ধু মালেককে হিন্দু মহাসভার গোপালগঞ্জের নেতা মারধর করলে বঙ্গবন্ধু প্রতিবাদ করেন। উল্টো বঙ্গবন্ধুকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে ভরা হয়।
ছাত্র রাজনীতি নিয়ে আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে বহিষ্কার করে। পরে ক্ষমা চাওয়ার বিনিময়ে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের কথা বললেও বঙ্গবন্ধু ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর পর আ. লীগের পুনরুজ্জীবিতকরণ নিয়ে তিনি বলেন, ১৯৬৪ সালে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবিত করতে তখন আতাউর রহমান খান, আব্দুস সালামের কাছে যান, কেউই রাজ হননি। পরে আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশের কাছে গেলে তিনি রাজি হন। তাকে সভাপতি ও বঙ্গবন্ধুকে সেক্রেটারি করে আওয়ামী লীগ পুনর্গঠিত হয়।
সকাল সাড়ে দশটার দিকে সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে হাজারো নেতাকর্মী সম্মেলনে এসেছেন