মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতাকে কটাক্ষ অগ্রহণযোগ্য: সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট
দেশের একটি বিশেষ মহল উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে নানা অজুহাতে মহান মুক্তিযুদ্ধ, দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের উপহাস, কটাক্ষ, অসম্মান এবং হেয় প্রতিপন্ন করে চলেছে দাবি করে এর প্রতিবাদে বিবৃতি সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে অসম্মান ও কটাক্ষ করা অগ্রহণযোগ্য।
১৫টি জাতীয় ভিত্তিক সাংস্কৃতিক ফেডারেশনের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে বিএনপি এবং তাদের সমগোত্রীয় রাজনৈতিক দল, কতিপয় পেশাজীবী, সাংবাদিক এবং সুশীল সমাজের একটি অংশ। এদের মূল উদ্দেশ্য হল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে তরুণ প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করা এবং জাতীয় জীবনের প্রায় সকল ক্ষেত্রে স্বাধীন বাংলাদেশের অভাবনীয় অর্জনকে আড়াল করা। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এই উদ্দেশ্যপূর্ণ মহলের অপতৎপরতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সম্প্রতি দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে কটাক্ষ ও প্রশ্নবিদ্ধ করায় সরকার আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। গণমাধ্যম, বাক-স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের নামে বহু রক্তের বিনিময়ে অর্জিত মহান মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও অসাম্প্রদায়িক সমাজচেতনার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও আক্রমণ ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
একই সঙ্গে গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা ও যেকোন অজুহাতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের অযাচিত হস্তক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে তারা।
বিবৃতি দাতা সংগঠনগুলো সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান, জাতীয় কবিতা পরিষদ, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদ, বাংলাদেশ গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা, বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ, বাংলাদেশ সঙ্গীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ যাত্রা শিল্প উন্নয়ন পরিষদ, আইটিআই বাংলাদেশ কেন্দ্র, অভিনয় শিল্পী সংঘ, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার, বাংলাদেশ শিশু সংগঠন ঐক্যজোট ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট।