রাজনীতি
আরাফাতকে জড়িয়ে গুজব ছড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীরা
ঢাকা ১৭ আসনে নির্বাচিত হওয়া সংসদ সদস্য অধ্যাপক এ. আরাফাত এবং দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই’কে ঘিরে গুজব ও প্রোপাগান্ডা চালিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে একটি গোষ্ঠী। মূলত রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ও আরাফাত এ. রহমানকে কেন্দ্র করে বিতর্ক সৃষ্টির জন্যই কাজটি করা বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে সরকারকে বিব্রত করে ঝামেলা সৃষ্টি করায় বিডি পলিটিকো নামক একটি গুজব সৃষ্টিকারী পোর্টাল এমন মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছে। এর পেছনে ভয়ঙ্কর বাজে অভিপ্রায় রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। জনগণকে উসকানি দিয়ে রাজপথে নামিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে বিদেশি প্রভুদের হস্তক্ষেপ চাইতে চাচ্ছেন তারা। এরপর পুতুল সরকার হিসেবে ক্ষমতায় আসাই তাদের মূল উদ্দেশ্য বলে মনে করা হচ্ছে।
এ. আরাফাত নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর গুজব পোর্টাল হিসেবে পরিচিত বিডি পলিটিকো একের পর এক অর্বাচীন ও ভিত্তিহীন গুজব ছড়াচ্ছে। তাদের গুজবে বলা হচ্ছে, এ আরাফাত নাকি ফোনে কাউকে বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ঘাতক এই আর্মি আমাকে ভোট দিবে কেনো? জননেত্রী এত কিছু দেয়ার পরেও এই দশা! শুয়ারের বাচ্চাদেরকে আমি দেখে নেব।’ কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন খবর। এ. আরাফাত রহমান ব্যক্তিগত ভাবেও এমন কোনো কথা বলেননি। বরং এমন কিছু হয়েছে বলেও কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। একাধিক আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টচেক সংস্থা বিষয়টিকে গুজব বলে আখ্যায়িত করেছেন।
বিভ্রান্তিকর ওই তথ্যে আরও বলা হয়, এ আরাফাতের এমন কথার পর তাকে নাকি আইনশৃঙ্খলাবাহিনী তুলে নিয়ে যায় এবং তাদের হেফাজতে নিয়ে রাখে। কিন্তু এ বিষয়টিও সম্পূর্ণ গুজব এবং মিথ্যাচার। বিষয়টিতে মিথ্যাচারের সর্বোচ্চ সীমানা অতিক্রম বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। দেশবাসীকে এমন মিথ্যাচার থেকে সতর্ক হবার আহ্বান জানিয়েন বিশেষজ্ঞরা বলেন, সামাজিকভাবে এই চক্রকে প্রতিহত করতে হবে। তা নাহলে উন্নয়নের এই বাংলাদেশ আবারও পিছিয়ে পড়বে। সোনার বাংলাকে আবারও দেখা যাবে দুর্নীতির শীর্ষে। নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রতিহত করলে তবেই বিফলে যাবে ওদের সকল অপচেষ্টা।