আজ শুভ বড়দিন। সারাবিশ্বের মত বাংলাদেশেও নানা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান, প্রার্থনা ও আনন্দ-উৎসবের মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করছেন খ্রিস্ট ধর্মের মানুষ।
আজকের এই দিনে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের বেথলেহেম শহরের এক গোয়ালঘরে জন্মগ্রহণ করেন খ্রিস্ট ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট। খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা দিনটিকে নানা আয়োজনে পালন করেন । সকল জরাজীর্ণতা ভুলে আগামী দিনগুলো সুন্দর হোক এমন প্রত্যাশা যীশু অনুসারীদের।
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসবে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী দিয়েছেন।
সবাইকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপনসহ বর্তমান যুদ্ধবিগ্রহপূর্ণ বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যিশুখ্রিষ্টের শিক্ষা ও আদর্শ অনুসরণীয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, পৃথিবীতে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে শোষণমুক্ত সমাজব্যবস্থা প্রবর্তন ছিল যিশুখ্রিষ্টের অন্যতম ব্রত। প্রধানমন্ত্রী গতকাল সকালে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
দিনটি উলক্ষে গির্জার ভেতর-বাইরে নানা রঙের আলোকসজ্জা। ভেতরে ক্রিসমাস ট্রিতেও আলোর ঝলকানি। গির্জা প্রাঙ্গণে তৈরি করা হয়েছে গোশালা। এর পাশে রাখা হয়েছে সান্তা ক্লজ। যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে, রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের গির্জাগুলোকে এভাবেই সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে।
চার্চের কক্ষগুলো বেলুন ও ফুলসহ নানা উপকরণ দিয়ে সাজানো হয়েছে। প্রার্থনাকক্ষের এক পাশে একটি গোশালা করা হয়েছে। যেখানে ফুটিয় তোলা হয় যীশুর জন্ম দিনের আবহ। চার্চ প্রাঙ্গণ সাজানো হয়েছে নানা রঙের বাতিতে।
যীশুর জন্ম যেমন সকল অনাচার অবিচার থেকে মানুষকে মুক্তি দিয়েছিল, আগামীতেও তার আদর্শ ধারন করে, পৃথিবী পাপ থেকে মুক্তি পাবে বলে জানান ভক্তরা।
জনজীবনের শান্তি ফিরিয়ে আনতে এবং বিশ্ব বিবেক যেন জাগ্রত হয়,আজকের এই দিনে সেই প্রার্থনায় খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা।