
ভোলার বোরহান উদ্দিনে ১৯৯৫ সালে গ্যাসের সন্ধান পায় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি বাপেক্স।বর্তমানে গ্যাস উত্তোলন করে কয়েকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র শিল্প কারখানা ও আবাসিকে সংযোগ দেয়া হয়েছে। এখনো বিপুল পরিমান গ্যাস মজুদ থাকায় গ্যাস ভিত্তিক সার কারখানার পরিকল্পনা করছেন সরকার।
সম্প্রতি এ লক্ষ্যে শিল্পমন্ত্রীর নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি দল ভোলার কয়েকটি সম্ভাবস্থান পরিদর্শন করেছেন। ভোলায় ৩০ বছরের গ্যাসের প্রাপ্যতা নিশ্চিত হলে ঘোড়াশালের মত সার কারখানা করা হবে। পাশাপাশি এল এম জি টার্মিনালের কথাও জানান শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ন।
আর শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেছেন,ভোলায় সার কারখানা হলে কোন সার বিদেশ থেকে আনতে হবেনা।এতে দেশের অর্থনীতিতে সাশ্রয় হবে এবং দেশের মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
এদিকে বিদ্যুৎ জালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন,ভোলার গ্যাসকে সর্বোচ্চ ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।একই সাথে দেশের বিদ্যুৎ ও ইন্ড্রাস্ট্রি খাতে যেখানে সংকট রয়েছে, সেখানে গ্যাসের ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। এ জন্য ভোলায় আরও গ্যাসের অনুসন্ধান চালানো হবে এবং ভবিষ্যতে আরও ৯টি কূপসহ মোট ১৮টি কূপ খনন পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
অন্যদিকে স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে ভোলার গ্যাস ভিত্তিক শিল্প কারখানার খবরে আনন্দিত এলাকাবাসী।দ্রুত এসব বাস্তবায়নের আহবান জানান তারা।
এসআর



