আইএমএফের কাছে দুই কিস্তির টাকা চায় বাংলাদেশ
আজ ঢাকায় আসছে প্রতিনিধি দল

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গত ৮ আগস্ট দায়িত্ব গ্রহণের পর আইএমএফের বড় কোনো দলের ঢাকায় এটি দ্বিতীয় সফর।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে জানা গেছে, ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে শর্তগুলো পর্যালোচনার জন্য আইএমএফের দলটি ঢাকায় আসছে। এই দলটি ৬ এপ্রিল থেকে দুই সপ্তাহব্যাপী সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করবে।
এ সফরে আইএমএফের দলের সদস্যরা অর্থ বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি), এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
সরকার আশা করছে, আগামী জুনে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ এক সঙ্গে পাওয়া যাবে।
এ দিকে সম্প্রতি অর্থনীতি বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইআরএফের সঙ্গে এক প্রাক-বাজেট আলোচনায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাজেট সহায়তার জন্যই আইএমএফ ঋণ প্রয়োজন। এ কারণেই বাংলাদেশ সরকার ও আইএমএফ যৌথভাবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য নির্ধারিত দুটি কিস্তি একসঙ্গে ছাড়ের বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আইএমএফকে জানানো হয়েছে, এসব শর্ত বাস্তবায়ন করা হবে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজস্ব নীতি থেকে রাজস্ব প্রশাসনকে আলাদা করার পদক্ষেপ ছাড়া বাকি দুটি শর্তে তেমন অগ্রগতি নেই।
যদিও ক্রলিং পেগ পদ্ধতিতে মুদ্রা বিনিময় হার নির্ধারণ করা হচ্ছে, যার ফলে হঠাৎ ডলারের দাম খুব বেশি বেড়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। বর্তমানে ডলারের দাম ১২২ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে।



