ফ্যাসিবাদ নির্মূলে অগ্রগণ্য ভূমিকা রেখেছেন এনসিপি নেতারা: আলী রীয়াজ

এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
আজ সকাল সাড়ে দশটা থেকে এনসিপি’র সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শুরু হয়।
আলোচনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম এর নেতৃত্বে ৮ সদস্যের প্রতিনিধিদলে দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ছাড়াও আরো ছিলেন সামান্তা শারমিন, হাসনাত আব্দুল্লাহ, নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, সারোয়ার তুষার, জাভেদ রাসিন এবং নাহিদা সারোয়ার নিভা।
তিনি আরও বলেন, সংস্কার কমিশনগুলোর পক্ষ থেকে যেসব সুপারিশ দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে একমতের জায়গাগুলো আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছি এবং সেগুলো নিয়ে আমরা অগ্রসর হব। যেসব জায়গায় আংশিকভাবে একমত বা ভিন্নমত রয়েছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, এখন সকলে মিলে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সময় এসেছে। ফ্যাসিবাদ যেন আর কখনো এদেশে ফিরে না আসে। রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেন স্থায়ী রূপ নেয়। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং সবরকমের নিপীড়ন যেন আমরা প্রতিহত করতে পারি৷
উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ৩৫টি দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে।