বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা’র মহাসচিবের সাথে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক
মঙ্গলবার ‘বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা’র মহাপরিচালক ড. রবার্তো আজাভেদো‘র সাথে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেছেন জেনেভা সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা আয়োজিত বাংলাদেশের ‘৫ম বাণিজ্য নীতি পর্যালোচনা’ অনুষ্ঠানে যোগদান উপলক্ষে জেনেভায় রয়েছেন বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বকসি পাঠানো বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়- ‘হৃদ্যতাপূর্ণ এ বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত সাম্প্রতিক পদক্ষেপ সমূহ নিয়ে কথা বলেন। দেশব্যাপী বাস্তবায়নরত ১শ’ ইকোনমিক জোন স্থাপন,বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইকোনমিক জোনসমূহের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু,কর আদায় ব্যবস্থাপনা এবং ব্যাংকিং সেক্টরের আধুনিকায়ন,দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণার বিষয়সমূহ তুলে ধরেন। ’
এছাড়া স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের বিষয়টি সহজতরকরণে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বিদ্যমান সুবিধাদি এবং কারিগরি সহায়তা প্রদানের অনুরোধ জানানো হয় বৈঠকে। পাশাপাশি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে উন্নীত হওয়া, পরবর্তীতে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা।মেধাস্বত্ত্ব অধিকার বিশেষত ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টরে বিদ্যমান অব্যাহতির মেয়াদসহ অন্যান্য সুবিধাদি অব্যাহত থাকবে মর্মে আশাবাদ প্রকাশ করেন ।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়ন এবং বাণিজ্য সম্প্রসারণে বর্তমান সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহের ভূয়সী প্রশংসা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি উল্লেখ করেন যে,মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ উন্নত হওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সরকার কর্তৃক ইতোমধ্যে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে সদস্য দেশসমূহকে অবহিত করার জন্য,চলমান বাণিজ্য নীতি পর্যালোচনা বাংলাদেশের জন্য কার্যকর সুযোগ এনে দিয়েছে।
সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী মনে করেন,স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণকামী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই একমাত্র দেশ। যারা গ্রেজুয়েশন চ্যালেঞ্জকে ভয় করেনি,বরং এটিকে ভবিষ্যৎ সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করে এর উৎযাপনে যথাযথ ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় বিভিন্ন সময়ে স্বল্পোন্নত দেশসমূহের কো-অর্ডিনেটর হিসেবে নেতৃত্ব প্রদানসহ ,বহুপাক্ষিক বাণিজ্যিক আলোচনায় বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে । তিনি উল্লেখ করেন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা বাংলাদেশের সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
একই দিন বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রী জেনেভাস্থ ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টারের (আইটিসি) নির্বাহী পরিচালক মিস. আরাঞ্চা গনজালেস এর সাথে বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে নারীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষমতায়নে বর্তমান সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরেন। এছাড়া, শি-ট্রেড-এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা-সক্ষমতা বিকাশে আইটিসি‘র সহযোগিতা কামনা করেন এবং চলতি বছরের শেষদিকে তাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী।
উভয় বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মো: মফিজুল ইসলাম,জেনেভাস্থ জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি মো: শামীম আহসান,বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো: মুনির চৌধুরী এবং স্থায়ী মিশনের ইকনোমিক মিনিস্টার সুপ্রিয় কুন্ডু।
বাংলাটিভি/ফাতেমা