মুক্তি পেলেও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ নেই ৯ বাংলাদেশির

দেড় বছরেরও বেশি সময় পাকিস্তানের করাচির ল্যান্ডি জেলখানায় বন্দি থাকা ৯ বাংলাদেশি মুক্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন। তবে পরিবারের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ হয়নি বলে জানিয়েছেন, পরিবারের সদস্যরা।
আর মাইগ্রেশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আটক ব্যক্তিরা মুক্তি পেলে সবার আগে পরিবারের সঙ্গেই যোগাযোগ করেন। যোগাযোগ না করাতে বোঝা যায় যে তারা মুক্তি পাননি।
বৈধ ভিসায় ওমান গিয়েছিলেন তারা। ওমান ও পাকিস্তান সীমান্তবর্তী সাগরে মাছ ধরতে গেলে ইঞ্জিন বিকল হয়ে স্রোতের টানে পাকিস্তানের জলসীমায় ঢুকে পড়েন। আটক হন পাকিস্তান নৌবাহিনীর হাতে। তিন মাসের জেল হয় তাদের।
কিন্তু কারাদণ্ড ভোগ করেও মুক্তি পাননি। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের মুক্তিতে বাধা নেই বলে আদালত রায় দিলেও তারা আটকই ছিলেন। কারণ তাদের কাছে তখন ছিল না কোনও পাসপোর্ট।
এ নিয়ে গত ২৮ জুন ‘পাকিস্তানের কারাগারে শিকলবন্দি ৯ বাংলাদেশি’ শিরোনামে গণমাধ্যমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন সংবাদ সম্মেলন করে জানান, পাকিস্তানে আটক বাংলাদেশিদের ফেরত আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ওই ৯ ব্যক্তি হলেন, নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের চরহেয়ার গ্রামের ছাইদুল হকের ছেলে মো. নবীর উদ্দিন, সোনাদিয়া ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকার আবু তাহেরের ছেলে মো. শাহরাজ, নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের নামারবাজার বন্দরটিলা এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে ইউসুফ উদ্দিন, নলচিরা ইউনিয়নের ৩নং রানী গ্রামের মো. এছহাকের ছেলে মো. আবুল কাশেম
জাহাজমারা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আবুল কাশেমের ছেলে মো. শরিফ, একই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদু মিয়ার বাড়ির খবির উদ্দিনের ছেলে মো. সাহেদ ও ৩নং ওয়ার্ড চরহেয়ার গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে মো. খান সাব
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার ৬নং পাটারীরহাট ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড পশ্চিম চর ফলকন গ্রামের দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন ও একই জেলার রামগতি উপজেলার সেবা গ্রামের মো. রফিকের ছেলে মো. ফারুক মিয়া। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন