এখনো ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অপেক্ষায় ‘বঙ্গভ্যাক্স’

প্রায় ৩ মাস আগে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি পেলেও এখন আলোর মুখ দেখেনি দেশীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালসের কোভিড ভ্যাকসিন বঙ্গভ্যাক্স।দেশে এখন সব ধরনের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল বন্ধ থাকায় বিষয়টি সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ, বিএমআরসির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী।
গত বছর চীনের উহান থেকে শুরু হওয়া করোনা ভাইরাস দ্রুত সময়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। একেবারে নতুন ধরনের এই জীবাণু এখন পর্যন্ত তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে গোটা দুনিয়ায়। আর অদৃশ্য এই জীবাণু মোকাবেলায় টেকসই প্রতিষেধক প্রস্তুতে হিমশিম খেতে হয় বিশ্বের উন্নত অনেক দেশকে। তবে আশার আলো জালিয়ে কয়েকটি দেশ সফল হয় মহামারি ভাইরাসের টিকা তৈরিতে।
পিছিয়ে ছিল না দেশিয় গবেষকরাও। গেল বছরের ২ জুলাই দেশে প্রথম ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ঘোষণা দেয় গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড। সব কিছু ঠিক থাকলে ৬ থেকে ৭ মাসের মধ্যে এই টিকা বাজারজাত করার কথাও জানায় প্রতিষ্ঠানটি। এনিমেল ট্রায়ালে সফল হওয়ার পর এবছরের শুরুতেই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য অনুমতি পায় দেশিয় ভ্যাকসিন বঙ্গভ্যাক্স। তবে তা এখনো আলোর মুখ দেখেনি।
এখন পর্যন্ত ভারত চীন ও বাংলাদেশের বঙ্গভ্যাক্সসহ মোট ৩ টি ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ, বিএমআরসির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী।
দেশে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় দফা সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যে এই টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি পেলে মহামারী প্রতিরোধ অনেকটা সহজ হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাটিভি/শহীদ