ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভুঁইয়া মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী এবং পাঁচ বারের সংসদ সদস্য।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ৩টায় রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
আব্দুস সাত্তার ভুঁইয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতের আইনজীবী ছিলেন। তিনি দীর্ঘ দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন।
উকিল আব্দুস সাত্তার ভুঁইয়ার ছেলে মাইনুল হাসান তুষার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা দীর্ঘ দিন ধরে কিডনির অসুখে ভুগছিলেন। এক সপ্তাহ আগে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছিল। এর মাঝেই তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন।
আজ শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনে তার প্রথম জানাজা হবে তারপর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেওয়া হবে। সেখানে আবারও জানাজা শেষে আমাদের গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।’
উকিল আব্দুস সাত্তার ভুঁইয়া ১৯৭৯ সালে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তিতে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের চার দলীয় জোট সরকারে তিনি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আব্দুস সাত্তার ভুঁইয়া আবারও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য হিসেবে জয়লাভ করেন। ২ জানুয়ারি ২০২৩ সালে তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে একই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করে সংসদ সদস্য হন।