‘কোয়ান্টাম স্পীড রিডিং’ প্রতি মিনিটে ১,৭০০ শব্দ
২০১৮ সালে ইউরোপে দ্রুত পঠনের যে প্রতিযোগিতা হয়েছে সেখানে তিনি প্রতি মিনিটে ১,৭০০ শব্দ পড়ে বিজয়ী হন। তাস খেলার সময় যেভাবে ‘কার্ড শাফল’ করা হয়, অনেকটা সেভাবেই দ্রুত বইয়ের পাতা উল্টে যেতে হয় এই প্রতিযোগিতায়।
তবে চীনের টিউশন সেন্টারগুলো বলছে, হলোওয়ের এই রেকর্ডটা চীনা ছেলেমেয়েদের কাছে কোন রেকর্ডই নয়, তারা এটা অনায়াসেই করতে পারে। এই টিউশন সেন্টারগুলো দাবি করছে তারা ছাত্র-ছাত্রীদের এমনভাবে তৈরি করতে পারে যে পাঁচ মিনিটেই পড়ে শেষ করতে পারে এক লাখ শব্দ।
এসব টিউশন সেন্টারে যে কৌশল শেখানো হয় তার নাম ‘কোয়ান্টাম স্পীড রিডিং।’ এটি বেশ বিতর্কিত একটি পদ্ধতি। সম্প্রতি এই পদ্ধতিতে বই পড়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যায় বই পড়ার প্রতিযোগিতায় ছেলে-মেয়েরা দ্রুত বইয়ের পাতা উল্টে যাচ্ছে। যারা এই কোয়ান্টাম স্পীড রিডিং শেখান, তারা মনে করেন, এভাবে দ্রুত বইয়ের পাতা উল্টে বইটির বিষয় সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরি হয় পাঠকের মনে
জাপানি শিক্ষক ইউমিকো তোবিতানি প্রথম ‘কোয়ান্টাস স্পীড রিডিং’ পদ্ধতি চালু করেন। এই নিয়ে ২০০৬ সালে তিনি একটি বই প্রকাশ করেছিলেন।
প্রতারিত হওয়া বাবা-মাদের অনেকেই এটা বিশ্বাস করেছেন যে বইয়ে ছাপানো তথ্য কোয়ান্টাম মেথডের মাধ্যমে মানুষের মগজে ঢুকিয়ে দেয়া সম্ভব। কিন্তু এটা একেবারেই সম্ভব নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু শর্টকাট রাস্তায় জ্ঞান অর্জনের এই ফাঁদে যেন বাবা-মায়েরা পা না দেন, কিভাবে তা নিশ্চিত করা সম্ভব?
এই কোর্সের ফি ৪,২০০ ডলার হতে ৮,৫০০ ডলার পর্যন্ত। তবে কোন কোন কোর্সের ফি প্রায় ১৪,০০০ ডলার পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এজন্যে চীনের টিউশন সেন্টারগুলোকে নিয়ম-নীতির অধীনে এনে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।– তথ্য সূত্র-বিবিসি বাংলা