বাহরাইনে মৃত্যুর দেড় মাস পরেও শনাক্ত হয়নি আসামী
ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় বাহরাইনে পাড়ি জমিয়ে, দুবৃর্ত্তের হাতে প্রাণ হারালেন মানিকগঞ্জের আলামিন মোল্লা। মৃত্যুর দেড় মাস পরেও, এখনো পর্যন্ত কোন আসামীকে শনাক্ত করতে পারেনি দেশটির পুলিশ।
এদিকে, গত শুক্রবার রাতে আলামিনের মরদেহ নিজ বাড়িতে আসার পর শনিবার সকালে দাফন করা হয়। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের চিহিৃত করে, শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তার স্বজনরা।
পরিবারের স্বচ্ছলতা আনতে, প্রায় তিনবছর পূর্বে বাহরাইনে পাড়ি জমান মানিকগঞ্জের আলামিন মোল্লা। দেশটিতে যাবার পর থেকেই একটি ফুলের বাগানে কর্মরত ছিলেন তিনি।
গত দেড়মাস আগে দেশটির সিফ এলাকায় একটি হোটেল থেকে এই বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার করে দেশটির পুলিশ। ঘটনার দেড় মাস পার হয়ে গেলেও এখনও কোন আসামীকে সনাক্ত করতে পারেনি বাহরাইনের পুলিশ।
এদিকে, গত শুক্রবার রাতে আলামিনের লাশ বাড়িতে আসার পরই, পুরো এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। মরদেহটি একপলক দেখতে ভিড় জমান শতশত মানুষ। পরে, শনিবার সকালে তাকে দাফন করা হয়।
নিহতের শাশুড়ী জানান, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করার আগের দিন মোবাইলে আলামিন বলেন, আমার যদি কিছু হয়ে যায় তার জন্য দায়ী থাকবে নুরুল হক, জামাল, মহিদুর ও উজ্জল নামে প্রবাসীরা।
আলামিন মোল্লা মানিকগঞ্জ সিংগাইর উপজেলার জয়মন্টপ ইউপির কোমলনগর গ্রামের মৃত কানাই মোল্লার ছেলে। নিহতের স্ত্রী স্বামী হত্যার বিচারের দাবি জানিয়ে, এতিম ছেলে-মেয়ে নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
রেজাউল করিম, সিংগাইর প্রতিনিধি