
রাজশাহী রয়্যালসের শ্রেষ্ঠত্বের মধ্যদিয়ে শেষ হলো বঙ্গবন্ধু বিপিএলের বিশেষ আসর। খুলনা টাইগার্সকে ২১ রান হারিয়ে, এ ট্রফি জিতে তারা। দিনশেষে মানুষ বিজয়ী আর সফলদেরকেই মনে রাখে। ব্যর্থদের ভুলে যায় সবাই। এ আসরে বিদেশিদের পাশাপাশি জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের অনেকেই ভালো করেছেন, তাদের মধ্যে একটা বড় অংশ বোলাররা। অনেকের পারফরম্যান্সের জায়গাটা ঠেকেছে তলানীতে।
বিপিএল মানে চার-ছক্কার ধুদ্ধুমার। সেখানে সেরা পাঁচের মধ্যে বাংলাদেশের রয়েছে মাত্র দুইজন ব্যাটসম্যান। অর্থ্যাৎ সহজ করে বলা যায়, ভালো করতে পারেননি, তামিম-সাব্বির কিংবা মোসাদ্দেক হোসেনরা। তবে আসরে একমাত্র দেশি ব্যাটার হিসেবে শতক হাঁকান নাজমুল হোসেন শান্ত। যা করতে পারেননি মুশি, তা করে দেখালেন তরুন তুর্কি।
এবারের আসর তুমুল সমালোচনা নিয়ে শুরু করা মুস্তাফিজুর রহমান, টুর্নামেন্ট শেষে প্রমাণ করলেন, এতো দ্রুত হারিয়ে যেতে চান না তিনি। দল রংপুর রেঞ্জার্স হতাশ করলেও,ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে উজ্জ্বল ছিলেন রংপুরের বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজ। ১২ ম্যাচে ২০ উইকেট নিয়ে হন টুর্নামেন্টের সেরা উইকেট শিকারি।
রান খরচ করেছেন ওভারপ্রতি ৭ দশমিক ০১ করে। বোলিং গড় ১৫ দশমিক ৬০। আর এ কারণেই, চারজন বোলার সমান ২০টি করে উইকেট পেলেও উইকেট সংগ্রাহকের তালিকায় সবার ওপরে রয়েছেন ফিজ।
তার সমান ২০টি উইকেট পেয়েছেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ডানহাতি পেসার রুবেল হোসেন। গতবারের মতো এবারও ধারাবাহিকতা বজায় রাখলেন তিনি। সমান ২০টি করে উইকেট নিয়েছেন খুলনা টাইগার্সের দুই বিদেশি পেসার মোহাম্মদ আমির ও রবি ফ্রাইলিংক।
বোলিংয়ের সেরা পাঁচে অন্য নামটি আবার আরেক দেশি পেসার শহীদুল ইসলামের। খুলনা টাইগার্সের হয়ে খেলা এ ডানহাতি বোলারের শিকার ১৯টি উইকেট।
এছাড়া চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের তরুণ বাঁহাতি পেসার মেহেদী হাসান রানা শিকার করেছেন ১৮টি উইকেট। যার মানে দাঁড়ায় বঙ্গবন্ধু বিপিএলে সেরা ছয় উইকেট শিকারির চারজনই হলেন বাংলাদেশি।
মোহাম্মদ হাসিব, বাংলা টিভি