মৃত্যুর আগে বিচার দেখে যেতে চান পিপাশা

সাদ্দাম নামে এক দালালের মাধ্যমে জনি ওভারসিজ লাইসেন্স নাম্বার ১২২০ গত তিন মাস ১১ দিন আগে জীবিকার তাগিদে সৌদিতে আসা পিপাশা মৃত্যু শয্যায়। মৃত্যুর আগে নির্যাতনকারীদের বিচার দেখে যেতে চান পিপাশা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরের পত্তন উপজেলার মাশাওড়া গ্রামের পিপাশা তার বাবার নাম হেফজু মিয়া|
নির্যাতনের শিকার হওয়ার অভিযোগ নিয়ে সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশি নারীদের ফেরত আসার ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে।সৌদি ফেরত নারী শ্রমিকদের কাছ থেকে নির্যাতনের এরকম বেশ কিছু কাহিনী প্রকাশিত হয়েছে ইতিমধ্যে।
তবে মাত্র ১২ বছর বয়সী পিপাশার মত এমন নির্যাতনের ঘটনা হয়তো এই প্রথম পিপাশা জানান, গত দু মাস যাবৎ একটি রুমে আটকে রেখে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে নির্যাতন করত কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশি। তাদের একজনকে দেখলে চিনতে পারবে বলেও জানিয়েছে পিপাশা।
পিপাশা বর্তমানে রাজধানী রিয়াদ থেকে ১৪৮ মাইল দুরে মাজমা শহরের র্পাশে তোমাইর জেনারেল হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
সৌদিতে নিযোক্ত রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ এর সাথে এ ব্যাপারে কথা হলে তিনি বলেন, এই কাজের সাথে যারা যারা জড়িত তাদের শাস্তি পেতেই হবে। তিনি বলেন দূতাবাস পিপাশার চিকিৎসা সহ সকল বিষয়ে পাশে থাকবে এবং সর্বাত্মক সহায়তা প্রধান করবে।
ঐ হসপিটালে কর্মরত বাংলাদেশী র্নাসএর সাথে পিপাশার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা তারা বলেন, এমন ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মত না|
দেশে পিপাশার বাবার সাথে কথা হলে তিনি জানান, যে ভিসার দালাল সাদ্দাম বলেন যে তার মেয়ে রোড একসিডেন্ট করে হাসপাতালে আছেন। পরে ঐ হসপিটালে র্কমরত এক বাংলাদেশির মোবাইল দিয়ে ইমুতে দেশে পিপাশার বাবার কাছে কল দিলে পিপাশার বাবা সব সত্য জানতে পারেন।