অবৈধ অভিবাসীদের পাশে গ্রীসের বাংলাদেশ দূতাবাস
ইউরোপের প্রবেশদ্বার গ্রীসে সম্প্রতি অভিবাসন বিষয়ে সরকারের রক্ষণশীলতার কারণে অনেক প্রবাসীই বৈধতা অর্জন করতে পারেননি। করোনা বিপর্যয়ের এই দুঃসময়ে অবৈধ অভিবাসী হওয়াটা যেন তাদের জীবনে অভিশাপ রুপে আবির্ভূত হয়েছে।
প্রায় একমাস ধরে দেশটিতে চলতে থাকা লকডাউনে গৃহবন্দী প্রবাসীদের মধ্যে এসব অবৈধ প্রবাসীরাই বেশী কষ্টে আছেন। বৈধতা না থাকায় তারা গ্রীস সরকারের দেয়া ত্রাণ এবং অন্যান্য সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রবাসীদের এমন সংকটে পাশে দাঁড়িয়েছে গ্রীসের বাংলাদেশ দূতাবাস।
বৈধ অবৈধ মিলিয়ে গ্রীসে প্রায় ৩৫ হাজার বাংলাদেশি বসবাস করেন। লকডাউনে জনজীবনের যে ক্ষতি হচ্ছে, সেই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে, গ্রীক সরকার পাঁচটি ধাপে প্রায় ১৩ বিলিয়ন ইউরোর আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। কিন্তু যেসব বাংলাদেশিরা বৈধতা অর্জন করতে পারেননি, তারা বঞ্চিত হচ্ছে এসব অনুদান প্রকল্প থেকে।
প্রায় একমাস ধরে গ্রীসে চলমান লকডাউনের ফলে, স্থবির হয়ে পড়েছে দেশটির স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। দেশটিতে চাকরী ব্যাবসাসহ নানা পেশায় নিয়োজিত বাংলাদেশী প্রবাসীরা গৃহবন্দী অবস্থায় বেকার জীবনযাপন করছেন। দিন কাটছে আতংক আর অনিশ্চয়তায়।
প্রবাসীদের দুরাবস্থা মোকাবেলায় পাশে দাঁড়িয়েছে, বাংলাদেশ দূতাবাসসহ নানা স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন। দূতাবাসের পক্ষ থেকে বিভিন্নস্থানে বিতরণ কেন্দ্র খুলে যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে অসহায় প্রবাসীদের অনুদান দেয়া হচ্ছে। ত্রাণ সহযোগিতা পেতে, দূতাবাসের টেলিফোন নম্বরে যোগাযোগের মাধ্যমে, নিজের বাংলাদেশি জাতীয়তা প্রমাণ করে ত্রাণের জন্য নিবন্ধন করতে নির্দেশ দিয়েছে, এথেন্স দূতাবাস ।
জাকির হোসাইন, গ্রীস প্রতিনিধি