fbpx
বাংলাদেশপড়াশোনাসরকার

শতভাগ উৎসব ভাতাসহ এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি

সরকারি কোষাগার থেতে শতভাগ উৎসব ভাতা প্রাপ্তি, শিক্ষায় বৈষম্য নিরসন ও বদলীর ব্যবস্থাসহ এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারি জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট। শনিবার (২ মার্চ) সেগুন বাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্বাধীনতা হলে সংবাদ সম্মেলনে বক্তরা এসব কথা বলেন।

বক্তারা বলেন, ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরা ২০১৮ সাল থেকেই জোটভিত্তিক আন্দোলন-সংগ্রাম করে বর্তমান সরকারের নিকট থেকে বার্ষিক ৫শতাংশ প্রবৃদ্ধি ও ২০শতাংশ বৈশাখী ভাতা প্রাপ্ত হয়েছেন। কিন্তু নেতৃবৃন্দের মূল দাবি ছিল এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ করা। এরপর ২০২৩ সালে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোটের ব্যানারে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে টানা ৪৪ দিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান ও প্রতিকী অনশন পালন করা হয়।’

‘তবে এক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো সাড়া না পাওয়ায় ওই বছরের আগষ্ট মাসে সংগ্রাম কমিটির ব্যানারে দেশের প্রায় অধিকাংশ শিক্ষক সংগঠন টানা ২২ দিন আন্দোলন করে। অতঃপর সরকারের পক্ষ থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের যাবতীয় বৈষম্য নিরসনের আশ্বাস প্রদান করা হয়। এছাড়াও এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের যৌক্তিকতা নিয়েও একটি প্রশাসনিক ও একটি আর্থিক কমিটি গঠনের আশ্বাস দেয়া হয়। ওই কমিটিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বিভিন্ন সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকেও রাখার আশ্বাস প্রদান করা হয়। কিন্তু তা এখনো আলোর মুখ দেখেনি।’

বক্তারা আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে সরকারের সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী বর্তমান সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ব্যরিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল দায়িত্ব গ্রহণের পর ঘোষণা করেছিলেন- এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে দ্রুতই শতভাগ উৎসব ভাতার ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু এ বিষয়েও এখনো কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ সরকারের পক্ষ থেকে দেখা যাচ্ছে না। তাই এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোটগতকাল প্রেস কনফারেন্স করে সরকারের নিকট আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরের পূর্বেই শতভাগ উৎসব ভাতার দাবি উপস্থাপন করে।’

সংগঠনটির পক্ষ থেকে দেয়া দাবিগুলো-

ক) ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ঈদ-উল-ফিতরের পূর্বেই সরকারি কোষাগার থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে শতভাগ উৎসব ভাতা  প্রদানের ব্যবস্থা নিতে হবে।

খ) এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সকল নিয়োগ সরকারের হাতে নিতে হবে, বদলি, প্রমোশন প্রথা অনতিবিলম্বে চালু করতে হবে এবং জুলাই/২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ইএফটি  এর মাধ্যমে বেতন-ভাতা প্রদান করতে হবে।

গ) এমপিওভুক্ত প্রধান শিক্ষকদেরকে ০৬ নং গ্রেডে এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকদেরকে ০৭ নং গ্রেডে বেতন প্রদান করতে হবে। বিশেষ করে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো সমসংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।

ঘ) মাধ্যমিক ডিজি আলাদাকরণপূর্বক এমপিওভুক্ত শিক্ষকদেরকে শিক্ষা প্রশাসনে আনুপাতিক হারে প্রেষণে নিয়োগ দিতে হবে। তাছাড়া এমপিওভুক্ত শিক্ষায় উচ্চতর গ্রেডে কর্মরতদেরকে যেন নিম্নতর গ্রেডের সরকারি কর্মকর্তার মাধ্যমে তদারকি করা না হয়।

ঙ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয় সরকারি কোষাগারে জমা নিয়ে এবং প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের বেতন কাঠামো ন্যূনতম সংস্কার করে এমপিওভুক্ত শিক্ষা ৩১ শে ডিসেম্বর/২০২৪ এর মধ্যে জাতীয়করণ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব জসিম উদ্দিন আহমদ । অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহবায়ক ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ মাইন উদ্দীন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন  সংগঠনের যুগ্ম আহবায়ক-১ ও বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সভাপতি অধ্যক্ষ মওলানা দেলোয়ার হোসেন আজিজী।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মোঃ ইদ্রিস আলী, উপাধ্যক্ষ মোঃ আবদুর রহমান,সমন্বয়কারী মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ শাহ আলম , শেখ মোঃ জসিম উদ্দিন, রতন কুমার দেবনাথ, শাহিদুল ইসলাম, মোঃ ফরিদ উদ্দিন, মতিউর রহমান দুলাল, মেজবাউল ইসলাম প্রিন্স, প্রকৌশলী আবুল বাশার, গোলাম মোস্তফা, মমতাজ উদ্দিন সহ অনেকে।

এসআর

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button