fbpx
বাংলাদেশঅপরাধ

সেপটিক ট্যাংক থেকে খণ্ডিত মাংস উদ্ধার, এমপি আনারের মরদেহের অংশ বলে ধারণা

কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জীবা আবাসনের বিইউ-৫৬ ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংক থেকে কিছু মাংস উদ্ধার করেছে পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি। ধারণা করা হচ্ছে, এটি ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহের খণ্ডিত দেহাংশের মাংস।

মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করে সিআইডি জানায়, ফরেনসিক পরীক্ষার পর এগুলো আনারের মরদেহের অংশ কিনা সে বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আবাসনের সুয়ারেজ সিস্টেমের কর্মী সিদ্ধেশ্বর মন্ডল জানান, এখন পর্যন্ত ওই সেফটিক ট্যাংক থেকে প্রায় ৪ কেজি ওজনের দেহাংশের মাংস উদ্ধার করেছে পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি। যেগুলো কাঁচের জারে লবণ মিশ্রিত পানিতে রাখা ছিল।

তিনি আরও বলেন, মাংসের টুকরোগুলো অনেকটা পাকোড়া’র মতো দেখতে। এছাড়া সিআইডি জানায়, মাংসের অংশগুলো কসাই জিহাদ ওয়াশরুমের কমোডে ফেলে দিয়েছিল বলে আগেই স্বীকার করেছিল।

সূত্রে জানা গেছে, ভূষণ শেখ নামে এক ব্যক্তি মঙ্গলবার সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করার সময় ‘টুকরো মাংসগুলো’ উদ্ধার করেন।

সঞ্জীবা গার্ডেনের অপর এক পরিচ্ছন্নতা কর্মী সাংবাদিকদের বলেন, ‘মাংসগুলো ছোট ছোট টুকরো করা। পানির মধ্যে থেকে সেগুলো সাদা হয়ে গেছে। আমাকে কোনো প্রকার ছবি তুলতে দেয়নি।’

এর আগে মঙ্গলবার কলকাতা সিআইডিকে আনারের দেহাংশের খোঁজে সঞ্জীবা গার্ডেনের সেই ফ্ল্যাটের কমোড, স্যুয়ারেজ লাইন ভেঙে সার্চ করার অনুরোধ করেন ঢাকার ডিবিপ্রধান হারুন-অর-রশিদ। পাশাপাশি হাতিশালা লেকও সার্চের অনুরোধ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, রোববার এমপি আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের তদন্তে ভারতে যায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল।

এ দলে রয়েছেন- ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের, গোয়েন্দা পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার আব্দুল আহাদ ও অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহিদুর রহমান।

বাংলা টিভি / এমএএইচ

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button