fbpx
বলিউডবিনোদন

অভিনয়ের পাশাপাশি বলিউড তারকাদের ‘সাইড’ বিজনেস

সিনেমা দিয়ে অগনিত মানুষের মন জয় করা তারকারা শুধু সিনেমার মধ্যেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখেননি। পাশাপাশি নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছেন  ব্যবসার জগতেও। চলুন জেনে নেয়া যাক  সিনেমাপ্রেমিদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা বলিউড অভিনেতাদের সাইড বিজনেসের খবর।

বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে ‘বিগ বি’ নামে পরিচিত তিনি। এই কিংবদন্তি অভিনেতার রয়েছে অমিতাভ বচ্চন কর্পোরেশন লিমিটেড তথা এবিসিএল নামক প্রযোজনা সংস্থা। ‘পা’ সিনেমার মতো অনেক সিনেমা প্রযোজনা করেছে সংস্থাটি।

অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক, চিত্রনাট্য লেখক এবং টেলিভিশন উপস্থাপক—এত পরিচয়ের বাইরেও তার আরেকটি পরিচয় রয়েছে। ব্যবসায়ী। ‘আমির খান প্রোডাকশন প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে রয়েছে তার প্রোডাকশন হাউস। এখান থেকে ‘লাগান’ এবং ‘তারে জামিন পার’ এর মতো চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে বক্স অফিসে খরা গেলেও বলিউডে সর্বাধিক ব্যবসাসফল ছবি উপহার দেওয়া নায়কদের একজন। তার প্রতিষ্ঠান ‘বিয়িং হিউম্যান’ ফ্যাশন ব্যান্ডের কয়েক শ’ স্টোর রয়েছে ভারত জুড়ে। তার চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থার নাম ‘সালমান খান প্রোডাকশনস’। বর্তমানে যে কয়টি ছবিতে অভিনয় করেছেন সবকটিতে তার প্রতিষ্ঠানটি প্রযোজনা, পরিবেশনাসহ নানাভাবে যুক্ত থাকছে।

রয়েছে টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘সালমান খান টিভি’। ‘যাত্রা ডটকম-এর মাধ্যমে পর্যটন ব্যবসা থেকেও তার প্রচুর আয় হয় সালমানের।

এরমধ্যে অন্যতম বলিউড বাদশাহ, বলিউড কিং ও কিং খান হিসেবে পরিচিত এই অভিনেতা। ‘রেড চিলিস এন্টারটেইনমেন্ট’ নামে চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন। অনেক বড় বড় বাজেটের চলচ্চিত্র প্রযোজনা করা হয়েছে এখান থেকে।

স্পনসরশিপ থেকে কয়েক মিলিয়ন ডলার উপার্জন করা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দল ‘কলকাতা নাইট রাইডার্স’ ও ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লীগের দল ‘ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সে’র সহ-কর্ণধার শাহরুখ খান। ‘কিডজানিয়া’র মত মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির ৪০ শতাংশ শেয়ার কিনে ‘এডুটেইনমেন্ট’ ব্যবসায় প্রবেশ করেন এসআরকে। তার মোট অর্থসম্পদের পরিমাণ ২ হাজার ৫০০ কোটি রুপি।

এছাড়া রয়েছেন, খ্যাতিমান এ অভিনেতার ‘পাপারাট্টি প্রোডাকশন’ নামে একটি প্রযোজনা সংস্থা রয়েছে। পাশাপাশি তার রিয়েল এস্টেট ব্যবসা রয়েছে। এছাড়া ‘মনার্ক’ গ্রুপের মাধ্যমে তিনি শিক্ষা ও আতিথিয়েতা খাতে ব্যবসা করেন।

বলিউডের জনপ্রিয় এ অভিনেতাকে ‘ডেডলি দত্ত’ বলা হয়। অনেকেই জানেন না ‘হোয়াইট ফেদার ফিল্ম প্রোডাকশন’ নামক প্রযোজনা সংস্থার মালিক সঞ্জয় দত্ত। ও বিশ্বের সবচেয়ে ‘হ্যান্ডসাম পুরুষ’র খ্যাতি অর্জন করা এ বলিউড অভিনেতা বিখ্যাত ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘এইচআরএক্স’ এর মালিক। এটি মূলত একটি অনলাইন শপ।

জুনিয়র বচ্চন অভিষেক প্রো-কাবাডি লীগের দল ‘জয়পুর গোলাপী প্যান্থার্স’র মালিক। এছাড়া তিনি ইন্ডিয়ান সুপার লীগের দল ‘চেন্নাইয়ান এফসি’রও মালিক। দুটি দলই স্পন্সরশীপ থেকে বিশাল অংকের টাকা আয় করে।

বলিউডের এই প্রতিষ্ঠিত অভিনেতারও রয়েছে সাইড বিজনেস। সিনেমা না করেও প্রচুর আয় করেন। অত্যন্ত সফল এ ব্যবসায়ীর দিল্লিতে একটি লাউঞ্জ-বার-রেস্তোঁরা রয়েছে। প্রাক্তন স্ত্রী মেহেরের সাথে চেসিং গণেশ নামে একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার শেয়ারও আছে তার।

এ পর্যন্ত ১১০টির মত চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। রেস্টুরেন্ট, বার ও ক্লাব ব্যবসায় দারুণ সফল এ অভিনেতা। এছাড়া তিনি ‘মিস্চিফ’ নামে একটি বিখ্যাত বুটিক চেইনের মালিক যার শাখা পুরো মুম্বাই জুড়ে। তিনি ‘এস-২ রিয়্যালিটি’ নামে কোম্পানির মালিক যারা বিলাসবহুল এপার্টমেন্ট ও বাড়ির ব্যবসা করে।

বলিউডের অন্যতম সুদর্শন এই অভিনেতার রয়েছে ‘জে এন্টারটেইনমেন্ট’ নামে একটি প্রোডাকশন হাউজ। এর ব্যানারে নির্মিত প্রথম সিনেমা ‘ভিকি ডোনার’। এছাড়াও তিনি ‘নর্থইস্ট ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব’ নামে একটি বিখ্যাত ফুটবল দলের মালিক। দলটি প্রতি বছর স্পনসরশিপ থেকে বিশাল অর্থ উপার্জন করে।–সারাবাংলা

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button