স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন,‘সারাদেশে হঠাৎ করেই ডেঙ্গুরোগী বেড়ে যাওয়ায় স্যালাইনের চাহিদা ১০ গুণ বেড়েছে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪০ হাজার ব্যাগ স্যালাইন দিতে হচ্ছে। মাসে চাহিদা ১২ লাখ ব্যাগ। এ অবস্থায় ডেঙ্গুরোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে বিদেশ থেকে স্যালাইন আমদানি করতে বলা হয়েছে।
শনিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালের ডেঙ্গু ইউনিট পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে স্যালাইন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ফুল প্রোডাকশন করতে বলা হয়েছে। সবগুলো ওষুধ কোম্পানি মিলেও চাহিদা মাফিক স্যালাইন উৎপাদন করতে পারছে না। সে কারণে গত দুদিন আগে মিটিং করে প্রয়োজনে বিদেশ থেকে স্যালাইন আমদানির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জাহিদ মালেক বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গুর নমুনা পরীক্ষার কীট সংকট নেই। সরবরাহ কম বা ঘাটতি দেখে প্রয়োজনে বাইরে থেকে সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। ডেঙ্গুরোগীদের চিকিৎসার জন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া আছে। ঢাকা শহরেই শুধু ৩ হাজার বেড রাখা আছে, ২ হাজার বেডে রোগী ভর্তি আছে। সারাদেশে ৫ হাজার বেড রেডি রাখার জন্য বলেছি, এখনো অনেক বেড খালি আছে।
তিনি বলেন, ডেঙ্গুরোগী কমাতে হলে মশা কমাতে হবে, মশা কমলে মশার কামড়ও কমবে, তখন ডেঙ্গু সংক্রমণও কমবে। সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাকে আহ্বান জানিয়েছি তারা যেন ভালো করে স্প্রে করে। এবং আমদের নিজেদের আঙিনা নিজেদেরই পরিষ্কার রাখতে হবে।