দুর্দান্ত ব্যাটিং ও বোলিং জাদুতে প্রথম আইএসপিএবি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে রাজা হয়ে রইলো ঢাকা কিং। প্রতিপক্ষ ব্র্যাকনেটকে ৬৮ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে টুর্নামেন্ট জিতলেন টুর্নামেন্টের অপরাজিত ঢাকা কিং দলনেতা ফরহাদ। ম্যান অব দ্য ফাইনাল হয়েছেন বিজয়ী দলের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তারেক হোসেন। ৩৯ বলে একটি চার ও ৯ ছক্কায় ৭৭ রান করেন তিনি। টুর্নামেন্টে একমাত্র শতকেরও মালিক তিনি। একইসঙ্গে টুর্নামেন্টে আরো দুইটি অর্ধশতক নিয়ে মোট ২৭৮ রান করে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টও হয়েছেন তারেক হোসেন। ম্যাচ সেরা ক্যাচার হয়েছেন রাজিব এবং টুর্নামেন্ট সেরা ক্যাচার অরিজিত সিকদার।
গতকাল সোমবার (০২ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর শ্যামলী ক্লাব মাঠে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বিটিআরসি ভাইস চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ এবং কমিশনার সৈয়দ দিলজার হোসেন, শেখ রিয়াজ আহমেদ ও ড. মুশফিক মান্নান চৌধুরী। এসময় আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক, মহাসচিব নাজমুল করিম ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, রাতের কৃত্রিম আলোতে টসে জিতে ব্রাক নেট দলীয় ক্যাপ্টেন একরামুল কবিরকে বোলিংয়ে আমন্ত্রণ জানান তিনি। ব্যাট হাতে দলের পক্ষে উদ্বোধনী তারেক-রবিউল জুটি ৫ ওভারে ৫০ রান করে শুভ সূচনা করেন। অপরদিকে ১৯ রান দিয়ে ওভাবের প্রথম বলেই আনলাকি ১৩তম বল খেলতে গিয়ে বেসামাল হয়ে ক্লিন বোল্ড হয়ে ফিরে যান রবিউল। তবে ২৬ বল খেলে অর্ধশতক পূরণ করে তারেক। এর পর সতীর্থ শাহীন অপয়া ১৩-কে কাবুর করে ছক্কা হাকিয়ে দলকে শত রানের মাইলফলক অতিক্রমে অবদান রাখেন শাহীন। ১৩ ওভারে দলের ১৬৫ রানে ব্যক্তিগত ৫৮ রানে এলবি ডব্লিউ ফাঁদে পরেন তিনি। শেষ ওভারে আবু এন এর হ্যাট্রিক ছক্কায় চার উইকেটে ঢাকা কিংস সংগ্রহ করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ২০৪ রান। ৯ বলে ২৬ রান করে সে।
খেলার বিরতিতে কেক কেটে বিটিআরসি ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোহাম্মাদ মহিউদ্দিন আহমেদের জন্মদিন পালন করেন আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক।
এরপর ২০৫ রান তাড়া করতে ব্যাট হাতে মাঠে নামে ব্র্যাকনেটের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান রতন-শরিফুল। এমডি এফ’র বলে দলীয় ২৭ ও ব্যক্তিগত তৃতীয় ওভারে ৭ বলে ১৪ রান করে লং অনে তালুবন্দি হন রতন। ৫ম ওভারের দ্বিতীয় বলে অর্ধশতক করে ব্র্যাক নেট। দলীয় ৫৯ রানে রানআউট হন অপর উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। এরপর ৭ম ওভাবে পতন ঘটে তৃতীয় উইকেটের। এরপর মাঠে নেমে ২টি চার ও একটি ছক্কা হাকিয়ে দলকে উজ্জীবিত করে জাহিদ হাসান। কিন্তু ৯৯ রানের মাথায় ১৫ বলে ১৮ রান করে বিদায় নেন তাপস। উইকেট হাতে থাকলেও বুদ্ধিদিপ্ত বোলিংয়ে ২০বলে ২৮ রান করে সাঝ ঘরে ফিরতে হয় জাহিদ হাসানকে। চার উইকেটে ১২৯ রান করতেই পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটে। হাতে উকেট থাকলেও টেইলএন্ড ব্যাটারদের জ্বলে ওঠার সুযোগ না থাকায় নির্ধারিত ওভাবে ছয় উইকেটে ১৩৬ রানের বেশি করতে পারেনি ব্র্যাক নেট।