ঘন কুয়াশায় ৯টি যানবাহন নিয়ে মাঝ পদ্মায় রজনীগন্ধা নামে একটি ফেরি ডুবে গেছে। নদীতে নোঙর করা অবস্থায় ফেরিটি ডুবে যায়। সকালে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ১০জনকে জিবীত উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট থেকে পণ্য বোঝাই ৭টি ছোট ও দুইটি বড় ট্রাক নিয়ে, পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশ্য ছেড়ে যায় রজনীগন্ধা ফেরি। ঘন কুয়াশায় পাটুয়ারিয়ার ৫ নম্বর ঘাটের কাছে ফেরিটি আটকে পড়লে মাঝ নদীতেই নোঙর করা হয়।
ফরিদপুর অঞ্চলের নৌপুলিশের পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, সকালে তলা ফেটে ৯টি ট্রাক নিয়ে পাটুরিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটের অদূরে রজনীগন্ধা ফেরিটি ডুবে যায়। পরে ফেরিতে থাকা ২০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ফেরিটি অনেক পুরাতন এবং ওভারলোড থাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে ফেরিতে থাকা চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা পণ্যবোঝাই ট্রাকের মালিক নাজমুল হোসাইন (৩৩) বলেন, সকাল সাড়ে ৬টার পর নোঙর করা ফেরির পেছন দিয়ে পানি উঠতে থাকলে আমরা ফেরির লোকজনকে ডেকে বলি। কিন্তু তারা বিষয়টি তোয়াক্কা করেনি। তারা ইচ্ছা করলে ফেরিটি দ্রুত স্টার্ট করে তীরে নিয়ে যেতে পারতেন। ফেরিতে কোনো কিছু ধাক্কা দেয়নি। তলা ফেটেই ফেরিটি ডুবে যায়।
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী ট্রাকচালকের সহকারী শহিদুল ইসলাম জানান, ফেরিওয়ালাদের গাফিলতিতে ডুবেছে। তারা ঘাট কর্তৃপক্ষকে জানায়নি। ঘাটের ২০০ মিটারের কাছে ডুবেছে। তারা এখন বলছে বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবেছে।
তবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, এতটুকু তথ্য পেয়েছি যে বাল্কহেডের ধাক্কায় ফেরিটি ডুবে গেছে। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি খতিয়ে দেখা হবে।
তিনি জানান, সকালে নোঙর করা অবস্থায় ‘রজনীগন্ধা’ ফেরিতে একটি বাল্কহেড, পেছন থেকে ধাক্কা দিলে, ধীরে ধীরে ফেরিটি পদ্মা নদীতে ডুবে যায়। এ ঘটনায় ১০ জনকে জিবিত উদ্ধার করা হলেও, নিখোঁজ রয়েছেন ফেরির সহকারী মাস্টার। উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তম উদ্ধার কাজ অব্যাহত রেখেছে।
এ ঘটনায় ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।