
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক বলেছেন, আগামী নির্বাচনে কিছু দলের পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতির দাবি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। তিনি বলেন, “আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দেব”—এই নীতি গণতন্ত্রের ভিত্তি, আর পিআর পদ্ধতি সেই নীতির পরিপন্থী।
তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্ট হাসিনা যেমন দিনের ভোট রাতে করেছে, তেমনি পিআর পদ্ধতিতে মানুষ ভোট দেবে এক জায়গায়, আর সংসদ সদস্য হবে অন্য অঞ্চলে—যেমন বরিশাল, পটুয়াখালী বা রাজশাহী থেকে। যারা পিআর পদ্ধতি চায়, তারা জনগণের ওপর ভরসা রাখে না। এটি হচ্ছে কালো বিড়ালের কাহিনী—যার মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত ও কষ্ট দিতে চায় তারা।”
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাতে বালাগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল ও সহযোগী সংগঠন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভাটি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়।
এম এ মালিক বলেন, “যখন জুলাই যোদ্ধারা ও ড. মুহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশে গণহত্যার জন্য ভারতের দায়ের কথা বলেছিলেন, তখন পিআর পদ্ধতির অনুসারীদের এক নেতা বলেছিলেন—ভারতকে কষ্ট দেওয়া যাবে না। এদের অবস্থানই প্রমাণ করে তারা কার পক্ষে।”
তিনি আরও বলেন, “দেশকে যারা গত ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট সরকারের হাতে তুলে দিয়ে অন্যায়, জুলুম, নির্যাতনে সহযোগিতা করেছে, এখন তাদের বিরুদ্ধে কথা বলব না—তা হতে পারে না।”
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে এম এ মালিক সবাইকে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
এ সময় তিনি জানান, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া সম্প্রতি লন্ডনে চিকিৎসা শেষে কাতারি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সস্ত্রীক তার সঙ্গে দেশে ফিরেছেন। বেগম জিয়া বলেছেন, “তিনি দেশের মানুষের সেবা করতে দেশে থাকবেন, বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।” এম এ মালিকও জানিয়েছেন, তিনি দেশেই থেকে জনগণের সেবা করবেন।



