fbpx
বাংলাদেশরাজনীতি

চট্রগ্রাম-১০ আসনের উপ-নির্বাচন

চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।আজ রোববার (৩০ জুলাই) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলেছে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ চলে। ঢাকা থেকে সরাসরি সিসি ক্যামেরায় ভোটের পরিস্থিতি পর্যেবক্ষণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।১৫৬ কেন্দ্রের ১৫৬৩টি সিসি ক্যামেরায় নির্বাচন ভবনের কন্ট্রোল রুম থেকে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করেন নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান ও রাশেদা সুলতানা।

সকাল ৮টার পরে নগরীর টাইগারপাসস্থ নিউ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিউদ্দীন বাচ্চু। ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মহিউদ্দীন বাচ্চু সাংবাদিকদের বলেন,‘নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি আছে।বিগত কয়েকটি নির্বাচনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত।বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারের সংখ্যা বাড়বে। নারী কেন্দ্রের চেয়ে পুরুষ কেন্দ্রে ভোটারের সংখ্যা কম। আমরা আশা করছি,ভোটাররা কেন্দ্রে এসে ভোট দেবেন।তবে, ভোটকেন্দ্রে ইভিএমের ত্রুটির কারণে ভোট দিতে সমস্যা হচ্ছে।’

সকাল ৯টায় শহীদনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়,পাঁচটি কেন্দ্রের একটিতে মাত্র ৫০টি ভোট পড়েছে। আবার পাশে লালখান বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নারী ভোটারদের লাইন। সাংবাদিক চলে যাওয়ার পর নারী ভোটারদের অধিকাংশ চলে যায়।তবে,নির্বাচনি কর্মকর্তারা সে সময় বলেছিলেন আমরা আশা করছি বেলা বাড়লে ভোটারও বাড়েব।’

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৮,১১,১২,১৩,১৪,২৪,২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে চট্টগ্রাম-১০ আসন।এ আসনে ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৩ জন ভোটার।এর মধ্যে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯২৯ জন পুরুষ এবং ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৮০ জন নারী।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৪ জুলাই মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীসহ ছয়জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। ৬ জুলাই এসব মনোনয়নপত্র বাছাই হয়।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু ছাড়াও জাতীয় পার্টির মো. সামসুল আলম, তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রশীদ মিয়া নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে মোহাম্মদ আরমান আলী ও মঞ্জুরুল  ইসলাম ভুঁইয়ার মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

নির্বাচনি এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে দায়িত্ব পালনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আইনানুগ নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আটজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং দুজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ আসনে গত তিনবারের সংসদ সদস্য ছিলেন ডা. আফছারুল আমীন। গত ২ জুন তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।

 

 

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button