fbpx
আন্তর্জাতিকমধ্যপ্রাচ্য

‘ফিলিস্তিনিদের নিপীড়নে ইসরাইল কখনো অজুহাতের অপেক্ষা করেনি’

ইসরাইলের বিরুদ্ধে গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা থেকে প্রতিরোধকামী সংগঠনগুলো যে প্রতিশোধমূলক অভিযান চালিয়েছে তার জন্য দোষারোপ করায় ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সমালোচনা করেছে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) বাহরাইনের রাজধানী মানামায় আরব লীগের শীর্ষ সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে মাহমুদ আব্বাস বলেন, গাজা থেকে ‘একতরফা সিদ্ধান্তে’ অভিযান চালানো হয়েছে। এটি “গাজা উপত্যকায় হামলা করার জন্য ইসরাইলকে অজুহাত এবং ন্যায্যতা দিয়েছে।”

৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা থেকে প্রতিশোধমূলক অভিযানের পর ইসরাইল আন্তর্জাতিক সমস্ত আইন লঙ্ঘন করে নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। এ সম্পর্কে হামাস বলেছে, স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রধানের মন্তব্যের জন্য তারা “দুঃখিত”। হামাস আরো বলেছে, “১৯৪৮ সাল থেকে ইহুদিবাদী শত্রুরা আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে অপরাধ করার জন্য কখনও অজুহাত সৃষ্টির অপেক্ষা করেনি।” ওই বছর বর্ণবাদী ইসরাইলি সন্ত্রাসীরা পশ্চিমা সমর্থকদের পৃষ্ঠপোষকতায় ফিলিস্তিনিদের ওপর বড় আকারের জাতিগত নির্মূল অভিযান চালায় এবং ব্যাপকভাবে ফিলিস্তিনিদের দেশত্যাগে বাধ্য করে। হামাস জানতে চেয়েছে, তখন সে নির্মূল অভিযান কোন অজুহাতে চালিয়েছিল ইসরাইল?

১৯৪৮ সালে যখন ইসরাইল নামক অবৈধ ও বর্ণবাদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয় তখন ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে জাতিগত নির্মূল অভিযান চালানো হয়েছিল। বলা যায়- রাতারাতি সাড়ে সাত লাখ ফিলিস্তিনিকে চিরদিনের জন্য উদ্বাস্তু করে দেয়া হয় যাদেরকে ইসরাইল আর কখনো নিজ ভূমিতে ফিরতে দেয়নি। ১৯৪৮ সালের ১৪ মে ইসরাইল নামক অবৈধ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়ার আগে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীরা ফিলিস্তিনের ৫০০ গ্রাম ও শহর ধ্বংস করে। তারপর থেকে এ পর্যন্ত ইসরাইল ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে বার বার একতরফাভাবে আগ্রাসন চালিয়ে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। শুধু তাই নয়, পশ্চিম তীর ও জেরুজালেম শহর দখল করে হাজার হাজার ইহুদি বসতি স্থাপন করেছে।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক। বাংলা টিভি

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button