সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে বলে জানিয়েছে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী মঞ্চ’ নামে একটি ছাত্র সংগঠন। এ ছাড়া যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও জীবনের অপূরণীয় ক্ষতি করেছে, তাদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই বলেও জানান শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এলিয়ান কাফী প্রতীকসহ ৯১ শিক্ষার্থীর সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৩ জুলাই থেকে কোটা সংস্কার এবং আমাদের অধিকার আদায়ের দাবিতে সারা দেশে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করি। এই অধিকার আদায়ের আন্দোলনে আমাদের অনেক শিক্ষার্থী শহীদ হয়েছেন। তাদের সবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।
এতে বলা হয়, আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনের দাবির মুখে ২৩ জুলাই প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে আমাদের আংশিক বিজয় অর্জন হয়েছে। এই কোটা সংস্কারের সঙ্গে আমাদের আরও কিছু যৌক্তিক বক্তব্য রয়েছে। যেমন:
► ছাত্রদের মূল আন্দোলন কোটা সংস্কার সম্পন্ন হয়েছে। এতে আন্দোলনকারীদের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে বলে আমরা মনে করি।
► সাধারণ ছাত্ররা জ্বালাওপোড়াও, সহিংসতা এবং ধ্বংসাত্বক কাজের সঙ্গে জড়িত নয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এটা সমর্থন করে না। যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও জীবনের অপূরণীয় ক্ষতি করেছে, তাদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই।
► এই আন্দোলনকালীন সময়ে অনেক নিরীহ শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন, নিহত ও আহত হয়েছেন। যারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর শক্তি প্রয়োগ করেছেন, তদন্ত সাপেক্ষে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার জন্য আমরা দাবি জানাচ্ছি এবং আহতদের সুচিকিৎসা এবং নিহত ছাত্রদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।
► বিগত ২৩ জুলাই ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিধান এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে যে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে তার দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
► অনতিবিলম্বে সারা দেশে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিতে হবে।
► সাধারণ শিক্ষার্থীরা যারা অহিংস আন্দোলন করেছে তারা যেন হয়রানির শিকার না হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
► এ ব্যাপারে আমরা সরকারের পরবর্তী ইতিবাচক পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছি।