fbpx
প্রধানমন্ত্রীআওয়ামী লীগরাজনীতিশোক সংবাদ

পান্না কায়সারের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক

বরেণ্য লেখক-গবেষক,বুদ্ধিজীবী,শিশু-কিশোর আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব,সাংস্কৃতিক সংগঠক, সাবেক সংসদ সদস্য শহীদজায়া অধ্যাপক পান্না কায়সার আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

শুক্রবার (৪ আগস্ট)সকাল ৮টায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পান্না কায়সার ১৯৫০ সালের ২৫ মে কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার পয়ালগাছা চৌধুরী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।

শহীদজায়া অধ্যাপক পান্না কায়সারের মৃত্যুতে শোক জানায় রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুুদ্দিন ও  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পান্না কায়সার শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারে স্ত্রী। তিনি জনপ্রিয় অভিনেত্রী শমী কায়সার ও অমিতাভ কায়সারের মা।

১৯৬৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি শহীদুল্লাহ কায়সারের সাথে তার বিয়ে হয়। সেদিন ঢাকা শহরে কার্ফিউ ছিল। পুরো দেশ তখন গণআন্দোলনে উত্তাল। শহীদুল্লাহ কায়সারের হাত ধরে আধুনিক সাহিত্য এবং রাজনীতির সঙ্গে পরিচয় হয় তার।

তার সংসার জীবন স্থায়ী হয় মাত্র দু’বছর ১০ মাসের মত। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আলবদর বাহিনীর সদস্যরা শহীদুল্লা কায়সারকে তার বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। তারপর আর ফিরে আসেননি তিনি।

তিনি ১৯৭৩ সাল থেকে শিশু কিশোর সংগঠন ‘খেলাঘর’র প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। ১৯৯০ সালে এই সংগঠনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।

তিনি বাংলাদেশের একজন ঔপন্যাসিক, গবেষক ও ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। এই শহীদজায়া শিক্ষকতা করেছেন বেগম বদরুন্নেসা কলেজে।

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় অবদান রাখার জন্য তাকে ২০২১ সালের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button