কমলাপুর আইসিডি’র বিকল্প হিসেবে গাজীপুরের ধীরাশ্রমে আইসিডি
চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ঢাকায় আসা কনটেইনারের মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ আসে রেলপথে। এ সক্ষমতা ৫০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যে কমলাপুর আইসিডি’র বিকল্প হিসেবে ধীরাশ্রমে নির্মিত হবে নতুন ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো বা আইসিডি।
মঙ্গলবার(৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় গাজীপুরের ধীরাশ্রমে প্রকল্পটি নির্মাণের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রকল্প প্রস্তাব অনুযায়ী, নতুন এ ডিপো তৈরির প্রকল্পটি এ বছরের অক্টোবরে শুরু হয়ে শেষ হবে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরে। ৩ হাজার ৪০২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। যার মধ্যে ২ হাজার ৬২০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৩০ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য। আর ৭ কিলোমিটার রেল লিংক রোড তৈরিতে রাখা হয়েছে ৬১১ কোটি টাকা।
রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কমলাপুর আইসিডি’র ধারণক্ষমতা যথেষ্ট নয়। রেলের কনটেইনার পরিবহনের সক্ষমতা বাড়াতে ঢাকার বাইরে ধীরাশ্রমে নতুন আইসিডি নির্মাণ করছে সরকার। এই আইসিডি নির্মাণ শেষ হলে কনটেইনারবাহী ট্রেনগুলোকে ঢাকায় প্রবেশ করতে হবে না। আর ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে ট্রানজিট চালু হলে এ আইসিডি গুরুত্বপূর্ণ হাব হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারবে।
এদিকে প্রকল্প এলাকাটি গাজীপুরের শিল্পাঞ্চলের কাছে হওয়ায় রফতানিমুখী পোশাক কারখানাগুলো সহজেই পণ্য পরিবহন করতে পারবে। আর পাশেই ঢাকা বাইপাস রোড থাকায় সড়কপথেও যোগাযোগ সহজ হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের সূত্রমতে, বর্তমানে ঢাকায় দিনের বেলা বড় ট্রাক চলাচলে বিধিনিষেধ থাকায় কমলাপুরে কনটেইনারবাহী ট্রাকগুলোকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। আর অধিকাংশ মালামাল পোশাক রফতানিসংশ্লিষ্ট হওয়ায় মালবাহী ট্রাকগুলোর কারণে টঙ্গি, পুবাইল, আশুলিয়া ও সাভারের মতো শিল্পাঞ্চলে তীব্র যানজট তৈরি হয়। বিষয়টিকে মাথায় রেখে ধীরাশ্রমে আইসিডি নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। সেখানে আইসিডি হলে ঢাকার যানজটও কমে আসবে।
এদিকে কমলাপুর নিয়ে পরিকল্পনা কমিশন বলছে, এখানে মাল্টিমোডাল হাব করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। হাব তৈরিতে জাপানের সঙ্গে জিটুজি এবং পিপিপি মডেল নিয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে। তাছাড়া কমার্শিয়াল স্পেসও থাকবে এখানে। আর পদ্মা রেল সেতু চালু হলে যে বিপুল পরিমাণে কনটেইনার আসবে তা হ্যান্ডল করার সক্ষমতা নেই কমলাপুরের আইসিডিতে। তাই দ্রুত ধীরাশ্রমে কাজ শুরু করতে চাইছে সরকার।