fbpx
বাংলাদেশআইন-বিচারনির্বাচনসরকার

তফসিলের পর বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার: আইনমন্ত্রী

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই আওয়ামী লীগের বর্তমান সরকার ‘নির্বাচনকালীন সরকার’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজের দপ্তরের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

আইনমন্ত্রী বলেন, “আমি স্পষ্টভাবে বলেছি, সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকার বলে কিছু নেই। এখন কথা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালেও এটা করেছেন, তার কারণ তিনি গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এটা করেছেন। এখন তার ওপর নির্ভর করে তিনি কীভাবে নির্বাচনকালীন সরকার দেবেন বা কী করবেন, কী করবেন না।
“আবার সংবিধান অনুযায়ী যদি আমরা বলি, যখন নির্বাচন কমিশন নির্বাচন (তফসিল) ঘোষণা করবে, সেই মুহূর্ত থেকে এই সরকার নির্বাচনকালীন সরকার।”
২০১৪ সালের মত এবারের নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রিসভা ছোট হবে কিনা, এ প্রশ্নে আনিসুল হক বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তিনি সবাইকে নিয়ে একটি নির্বাচন করার চেষ্টা করছিলেন।

“সেই সময়ের ইতিহাস আপনারা জানেন। বিরোধী দলীয় নেতাকে প্রধানমন্ত্রী টেলিফোন করেছিলেন, কিন্তু তিনি তা ধরেননি। সে ক্ষেত্রে ২০১৮ সালেও তিনি আলোচনা করেছেন। আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি নির্বাচনে গেছেন। কিন্তু প্রতিবারই বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন নষ্ট করার সব পদক্ষেপ নিয়েছে।”

আইনমন্ত্রী বলেন, “যারা এটার মধ্যে পার্টিসিপেট (অংশগ্রহণ) করতে চান তাদের স্বাগতম, যারা করবেন না সেটা তাদের সিদ্ধান্ত। “নির্বাচন কখন হবে, সেই অনুসারে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে। আমরা চাই সবাই নির্বাচনে আসুক এবং নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হবে।”

তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বললে আলোচনার সুযোগ নেই। অন্যকিছু কিছু যদি আলোচনা করতে চায়, আমি তো জানি না যে কি প্রস্তাব, প্রস্তাবের ওপর নির্ভর করবে আলোচনার সুযোগ আছে কিনা।”

ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারির শুরুর মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেজন্য নভেম্বরের মাঝামাাঝি সময়ে তফসিল ঘোষণার পরিকল্পনা করেছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।
কিন্তু বিরোধী দলে থাকা বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করছে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলছে, বিলুপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ফেরানোর কোনো সুযোগ নেই, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থাতেই নির্বাচন হবে।

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button