সাতক্ষীরায় যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

|| গোপাল কুমার ||
একুশের প্রথম প্রহরে পুষ্পার্ঘ অর্পণ, প্রভাতফেরি, আলোচনা সভা ও নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরায় যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হচ্ছে। বুধবার রাত ১২ টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। শহীদ বেদীতে ১২টা ১ মিনিটে প্রথমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, তালা-কলারোয়া আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, জেলা পুলিশ সুপার ভারপ্রাপ্ত ইলতুৎমিশ, পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. রফিকুল ইসলাম, প্রমুখ।
এরপর দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে শহীদ মিনারের বেদীতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন রাজনৈতিক, কূটনীতিক, শিক্ষাবিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সংগঠন, শিক্ষক, ছাত্রসহ সকল শ্রেণি-পেশা ও বিভিন্ন বয়সের মানুষ। শহরের বিভিন্ন সড়কে মনোরম আলপনা আঁকা শ্রদ্ধা ও ভক্তি বাড়িয়ে দেয়। এসময় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে খালি পায়ে ভিড় করেন। তাই প্রথম প্রহরে সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ফুলে ফুলে ভরে যায় স্মৃতির মিনার। সকালে প্রভাতফেরি মধ্যে দিয়ে শুরু হয়ে চললে নানান কর্মসূচী। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলা দাবি আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের উপর গুলি চালায় পুলিশ। এতে শহীদ হন রফিক, জব্বার, বরকত, শফিউরসহ নাম না জানা আরো অনেকে। পাকিস্তান শাসনামল থেকেই দিনটিকে শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করে আসছে বাঙালিরা। ভাষার দাবিতে বিশ্বের প্রথম কোনো জাতি জীবন দেওয়ায় ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কোর একটি সভায় ১৮৮টি রাষ্ট্রে সম্মতিতে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। ২০০০ সাল থেকে সারা বিশ্বে দিবসটিকে যথাযথ মর্যাদায় পালন করছে বিভিন্ন ভাষাভাষী জনগোষ্ঠী।
বাংলাটিভি/প্রিন্স