fbpx
বাংলাদেশআওয়ামী লীগরাজনীতি

বিএনপির নেতারা সিঙ্গাপুরে গিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন কিনা সেটাই প্রশ্ন: তথ্যমন্ত্রী

চিকিৎসার জন্য বিএনপির বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা সিঙ্গাপুরে গিয়েছেন। তবে, তারা সিঙ্গাপুরে গিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন কিনা এমন প্রশ্ন তুলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

রোববার (২৭ আগস্ট) রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে আইভি রহমান পরিষদ আয়োজিত গ্রেনেড হামলায় নিহত আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সহধর্মিনী আইভি রহমানের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী এ প্রশ্ন করেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির তিন নেতা সিঙ্গাপুর গেছেন। পত্র-পত্রিকা লিখছে, এটা কি আদৌ চিকিৎসা নাকি আরও কোনো ষড়যন্ত্র করার উদ্দেশে তারা একইসঙ্গে সিঙ্গাপুর গেলেন। এটি অনেকেরই প্রশ্ন।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি আসলে হত্যার রাজনীতিটাই করে। জিয়াউর রহমানের উত্থান হত্যার রাজনীতির মাধ্যমেই। জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে যখনই সেনাবাহিনীতে ক্যুর প্রচেষ্টা হয়েছে, তখনই নির্বিচারে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও সৈনিকদের হত্যা করা হয়েছে। এভাবে জিয়াউর রহমান ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে, করতে পারেননি। তার লোকই তাকে হত্যা করেছে। বেগম খালেদা জিয়া নিজের ক্ষমতাকালেও জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচার করেননি।’

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দেশ থেকে যদি অপরাজনীতি, মানুষ হত্যার রাজনীতি, জিঘাংসার রাজনীতি, প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ করতে হয় তাহলে যারা প্রতিহিংসা ও অপরাজনীতি করে তাদের রাজনৈতিক দৃশ্যপট থেকে বিদায় করা দরকার। নইলে এই অপরাজনীতি বন্ধ হবে না।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি যে নির্বাচন বর্জনের হুমকি দেয়, তাতে কিছু আসে-যায় না। তারা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বর্জন করেছিলো, জনগণ বর্জন করে নাই, ৫০ শতাংশের বেশি ভোট মানুষ দিয়েছে। নির্বাচন বর্জন করার অধিকার তাদের অবশ্যই আছে। কিন্তু যদি কেউ নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করে, এ দেশের মানুষ কঠোর হস্তে তা দমন করবে।’ সেই সাথে সতর্কবার্তা উচ্চারণ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এটি ২০১৪ সাল নয়, এটি ২০২৩ কিম্বা ২০২৪ সাল। সুতরাং এখন ঐ ২০১৩-২০১৪ সালের অরাজকতার পুনরাবৃত্তির অপচেষ্টা দেশের মানুষ করতে দেবে না।’

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button