fbpx
বাংলাদেশরাজনীতি

সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে চার দফা দাবি জানিয়েছে গণমুক্তি জোট

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে বিরোধী দলগুলোর দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছে নতুন রাজনৈতিক সংগঠন গণমুক্তি জোট। সেই সঙ্গে চার দফা দাবি জানিয়েছে জোটটি।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের মানিক মিয়া হলে ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে বর্তমান প্রেক্ষাপটে করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ দাবি জানানো হয়।

এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- গণমুক্তি জোটের চেয়ারম্যান ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ, প্রধান মুখপাত্র কাসেম মাসুদ, প্রধান উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিস, প্রধান সমন্বয়ক আবু লায়েস মুন্না, কো-চেয়ারম্যান ড. এআর খান, আখতার হোসেন, সমন্বয়ক আমিনা খাতুন, রাজু আহমেদসহ জোটের অন্যান্য সদস্যরা।

বক্তারা বলেন, দেশ আজ এক সন্ধিক্ষণের মধ্য দিয়ে চলছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিরোধী দলগুলো সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে এবং বিভিন্ন ফর্মুলা তুলে ধরছে। গণমুক্তি জোটও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবির সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। সেই সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচনে যেসব বাধা রয়েছে তার বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলতেও সংকল্পবদ্ধ।

তারা আরোও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবির বিপরীতে সরকারও বলছে সুষ্ঠু নির্বাচন দেবে। কিন্তু বিগত দুটি নির্বাচনের অভিজ্ঞতায় সে কথা কেউ আর বিশ্বাস করে না। গণমুক্তি জোট একটি নির্বাচনমুখী জোট এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ সংসদীয় আসনে প্রার্থী দিতে চায়। তবে অবশ্যই সে নির্বাচন হতে হবে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক।

এসময় তারা বলেন, বিগত ৫২ বছরে কোন শাসক দলই স্বাধীনতার অঙ্গীকার-সাম্য, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা বাস্তবায়ন করেনি। উল্টো দূর্নীতি-বৈষম্য-মতপ্রকাশে বাধা, টাকা পাচার, ভোট ডাকাতি ও সন্ত্রাস কায়েম করেছে। সে কারণে বড় দুই দলকে ফ্যাসিস্ট আখ্যায়িত করে বর্জন করতে এবং বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার আহ্ববান জানিয়ে এসেছে। কিন্তু বর্তমানে ওইসব দল নিজেরা ঐক্যবদ্ধ না হয়ে কথিত ফ্যাসিস্ট দল দুটিকেই ক্ষমতায় রাখতে বা ক্ষমতাসীন করতে শান্তি সমাবেশ বা যুগপৎ কার্যক্রমে সহযোগিতা করছে।

এ সময় জোটটির পক্ষ থেকে যেসব দাবি জানানো হয় সেগুলো হলো-

১. তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সংসদ ভেঙে দিতে হবে।
২. মন্ত্রিসভা ছোট করতে হবে এবং সভায় বিরোধী দলগুলোর প্রতিনিধি যুক্ত করতে হবে
৩. স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে সরাসরি নির্বাচন কমিশনের অধীনে আনতে হবে।
৪. নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করতে আইন সংশোধন করতে হবে যাতে সরকার নির্বাচন কমিশনের আদেশ নির্দেশ মেনে চলতে বাধ্য থাকে।

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button