fbpx
বাংলাদেশ

শান্তিরক্ষীদের নিয়ে ‘ডয়চে ভেলের’ প্রতিবেদন পক্ষপাতমূলক: সেনা সদর

আফ্রিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন গোলোযোগপূর্ণ দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অনন্য অবদান রেখে চলা বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের নিয়ে জার্মান ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ‘ডয়েচে ভেলে’র (ডিডব্লিউ) বিভ্রান্তিমূলক প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ডয়েচে ভেলের পক্ষপাতমূলক ও একপেশে ওই প্রতিবেদনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য প্রশ্নবিদ্ধ বলেও মন্তব্য করেছে সেনাবাহিনী সদর দফতর।

শনিবার (২৫ মে) আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) মাধ্যমে পাঠানো সেনা সদরের ওই প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, অতি সম্প্রতি ডয়চে ভেলে কর্তৃক ‘টরচারার্স ডেপ্লয়েড অ্যাস ইউএন পিসকিপারস’ শিরোনামে প্রচারিত ডকুমেন্টারি/তথ্যচিত্রে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনাসদস্যদের নিয়ে একটি বিভ্রান্তিমূলক প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।

সেনা সদর বলেছে, শান্তিরক্ষী নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘের কঠোর নির্বাচন এবং যাচাইকরণ প্রক্রিয়া অনুসরণপূর্বক সকল সময়ে সবচেয়ে যোগ্য এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাইকৃত সেনাসদস্যদের মোতায়েন নিশ্চিত করে। সর্বদা এই প্রক্রিয়া অনুসরণের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শান্তিরক্ষী নির্বাচনে উচ্চমানের আচরণবিধি এবং পেশাগত দক্ষতার দায়বদ্ধতা প্রমাণ করেছে।

অথচ, ওই ডকুমেন্টারিতে উপস্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে ডয়চে ভেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছ থেকে কোন মন্তব্য গ্রহণ করেনি। পক্ষপাতমূলক ও একপেশে এই প্রতিবেদনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য প্রশ্নবিদ্ধ। প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, ডকুমেন্টারিটিতে অপ্রাসঙ্গিকভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভিডিও ফুটেজ ব্যবহার করে অপর একটি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মানহানি করাই এর মূল অভিপ্রায় ছিল বলে প্রতীয়মান। এটি সম্পূর্ণরূপে একটি পক্ষপাতদুষ্ট অভিপ্রয়াস, যা ডকুমেন্টারিটির বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা বিনষ্ট করেছে।

সেনাবাহিনী সদর দফতর জানিয়েছে, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা ও মানবতার কল্যাণে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৩১ জন বীর সেনানী সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ স্বীকার করেন এবং ২৩৯ জন আহত হন, যা জাতিসংঘের পতাকা সমুন্নত রাখার চেষ্টায় এটি একটি বিরল উদাহরণ। এছাড়াও বিগত তিন দশকে জাতিসংঘের অধীনে দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীরা কোন রূপ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ মুক্ত, যা একটি দৃষ্টান্তমূলক অর্জন।

উপরোক্ত বক্তব্যের প্রেক্ষিতে, আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে গণমাধ্যমসমূহের ন্যায্য এবং ভারসাম্যপূর্ণ প্রতিবেদনের নীতি মেনে চলা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এছাড়া বিভ্রান্তিমূলক প্রতিবেদন উপস্থাপন এবং সংবাদ প্রচার বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষী বাহিনীর বিশ্বাসযোগ্যতা ও কার্যকারিতা বহুলাংশে ক্ষুন্ন করবে।

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button