fbpx
বাংলাদেশস্বাস্থ্য

এনার্জি ড্রিংক এর নামে কি খাচ্ছে আমাদের ছেলে মেয়েরা ?

এনার্জি ড্রিংক এর নামে কি খাচ্ছে আমাদের ছেলে মেয়েরা ?

 

এনার্জি ড্রিংকস-এর হাত ধরেই তরুনরা এখন নেশার জগতে প্রবেশ করছে। ভয়ঙ্কর এই তথ্য দিলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তাদের মতে, এ পানীয় দীর্ঘ মেয়াদে মানুষের মস্তিস্ক বিকৃতির কারন হতে পারে। সুতরাং সাধু সাবধান!

চরম ক্ষতি করতে পারে গর্ভবতী মা ও সন্তানের। আর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর জানিয়েছে, কম পরিচিত তিনটি ব্রান্ডের এনার্জি ড্রিংকস পরীক্ষা করে তারা ভয়াবহ মাদক আফিম পেয়েছেন। এনার্জি ড্রিংকস নিয়ে কেন এই উন্মাদনা। কারন তরুনরা এর ক্ষতিকর দিক না জানলেও ভেতরের খবর তাদের জানা আছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ফেন্সিডিলসেবী জানান, সমপ্রতি ফেন্সিডিলের দাম তিনশ টাকা থেকে বেড়ে সাতশো টাকায় ঠেকেছে। তারপরও সেবন করতে গিয়ে নানা রকমের ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হচ্ছে। তাই তারা অনেকেই এখন বিকল্প হিসেবে এনার্জি ড্রিংকস ফাস্ট ফিলিংস এবং হর্স ফিলিংস সেবন করছেন। ৪৫ টাকা মূল্যের ফাস্ট ফিলিংস এবং হর্স ফিলিংস নামের এনাজিং ড্রিংকস সেবনের পর শরীরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ঝিমুনী আসে। নেশা হয়। তারা আরো জানান, টাকা জোগার হলে কয়েকজন সেবনকারী একসঙ্গে বসে কয়েকটি এনাজিং ড্রিংকস এর সঙ্গে এক বা দুই বোতল ফেন্সিডিল মিশিয়ে সেবন করে থাকেন। এতে শরীরে উত্তেজনা এবং নেশা বেশি হয়। টাকার পরিমাণ কম থাকলে ওই দুটি এনার্জি ড্রিংকস বিকল্প ফেন্সিডিল হিসেবে তারা সেবন করেন।

তরুনদের আগ্রহ আর বিসিএসআইয়ের ল্যাবরেটরী রিপোর্ট নিয়ে মুখোমুখি দেশের খ্যাতিমান বিশেষেজ্ঞ চিকিৎসকদের। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনষ্টিটিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ডা. মো. গোলাম রাব্বানি এনার্জি ড্রিংকস-এ অ্যালকোহলের উপস্থিতিকে ভয়ংকর বললেন। তার মতে, এনাজিং ড্রিংকস এর হাত ধরেই মূল নেশার জগতে ঢুকছে তরুন সমাজ।এনার্জি ড্রিংকস-এর ক্যাফেইন দীর্ঘ মেয়াদে মানব দেহের ক্ষতি করে। একইভাবে ক্ষতি হবে গর্ভবতী মা এবং শিশুর। এনার্জি ড্রিংকস উৎপাদনকারীরা সরাসরি লাইসেন্সের শর্ত ভাঙ্গছেন বলে জানালেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের মেডিসিনের অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ।

এনার্জি ড্রিংকস-এ ব্যবহৃত টরেইনের ক্ষতিকর দিকগুলো জানালেন, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু । তবে এসব মানতে নারাজ এনার্জি ড্রিংকস প্রস্তুতকারীরা। তাদের কথা যেকোন জিনিসই বেশী খেলে শরীরের ক্ষতি হয়।

বিএসটিআইয়ের অনুমেদিত এনার্জি ড্রিংকস-এর যেখানে এই অবস্থা সেখানে নকল, অবৈধ এনার্জি ড্রিংকস এ বাজায় ছেয়ে যাচেছ। বিদেশ থেকেও আসছে নানা পথে।

বিভিন্ন মহল্লার মুদি দোকানে আর ম্যানপাওয়ার, ভিগোভি এবং পাওয়ার ফিলিংস নামে তিনটি এনার্জি ড্রিংকস পাওয়া যায়। “শুধুমাত্র প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য” কথাটি ব্যবহার করে স্কুল বা কলেজ গামী তরুনদের মনে কৌতুহলের সৃষ্টি করছে। এইসব পানীয় গুলো পরীক্ষা করে ভয়াবহ মাদক আফিম পেয়েছে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদফতর। তারা বিএসটিআইএর লাসসেন্সের শর্ত ভেঙ্গে এনার্জি ড্রিংকস এর নামে বাজারে মাদক ছাড়ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদফতরের লোকজন হয়তো এটা জানে না বা রহস্য জনক কারনে কথিত এনার্জি ড্রিংকসের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নিচ্ছেন না বলে সাধারন লোকজন মনে করেন।

তাই এনার্জি ড্রিংস নামে যা বাজারে ছাড়া হচ্ছে তা নিয়ে এখনই তদন্ত প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসকরা।

আরো পড়ুন: আগামীকাল বিএনপির বিক্ষোভ সারাদেশে

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button